কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের প্রকল্পগুলি রাজ্যের উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা নিচ্ছে : কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, এপ্রিল ১৮, : ত্রিপুরাকে বিকাশের পথে নিয়ে যাওয়া কেন্দ্রীয় সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। কেন্দ্ৰ ও রাজ্য সরকারের প্রকল্পগুলি সম্মিলিতভাবে ত্রিপুরা রাজ্যের উন্নয়নে সাহায্য করছে। কেন্দ্রীয় সরকারের ভোক্তা বিষয়ক, খাদ্য ও গণবন্টন এবং সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী বি. এল. ভার্মা ১৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় বিলোনীয়া সার্কিট হাউসের কনফারেন্স হলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বলেন। তিনি গতকাল দু'দিনের বিলোনীয়া সফরে আসেন। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, রাজ্যে ডাবল ইঞ্জিন সরকার চলছে। তার সুফল জনগণ পাচ্ছে কিনা তা দেখতে তিনি বিলোনীয়া সফরে এসেছেন। এখানে তিনি জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিক ও সাধারণ জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় করে রাজ্যের উন্নয়নের কাজে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
দেশের দারিদ্র্য কমানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দায়িত্বভার গ্রহণের পর ২৫ কোটি মানুষ দারিদ্র্যতা থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গরিব, মহিলা, যুবক ও কৃষকদের উন্নয়নে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। মোদি সরকার ভ্রষ্টাচার রোধ করে স্বচ্ছতা বজায় রেখে কাজ করছে। ব্যাঙ্কে প্রায় ৫৩ কোটি মানুষ জিরো ব্যালান্সে অ্যাকাউন্ট খুলেছেন এবং সরাসরি তাদের অ্যাকাউন্টে বিভিন্ন কাজের টাকা ঢুকছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে সমৃদ্ধ ভারত, বিকশিত ভারত গড়ার কাজ চলছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে। দিব্যাঙ্গজনদের নামের পরিবর্তন করেছে। তাদের কল্যাণে সরকার নানা প্রকল্প নিয়েছে, যাতে করে তারা বিকশিত ভারত গড়তে ভূমিকা নিতে পারেন।
শ্রী ভার্মা বলেন, শিক্ষা ও চাকরিতে দিব্যাঙ্গজনদের জন্য সংরক্ষণের হার বাড়াতে চিন্তাভাবনা চলছে। তাদের চিহ্নিত করার জন্য ব্যাপক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং প্রক্রিয়া সরলীকরণ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিশালগড়ে দিব্যাঙ্গ সহায়ক সরঞ্জাম তৈরি কারখানা চালু হলে দক্ষিণ ত্রিপুরায় তার একটি মজুত ভান্ডার গড়ে তোলার জন্য জায়গা চিহ্নিত করা হবে। সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক ও সমাহর্তা মহম্মদ সাজাদ পি, অতিরিক্ত জেলাশাসক প্রদীপ কে।
আরও পড়ুন...