Hare to Whatsapp
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের চিন্তা-চেতনা ও সংস্কৃতিতে জড়িয়ে আছেন : মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, মে ১০, : ভারতীয় সংস্কৃতির অন্যতম প্রাণপুরুষ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আমাদের সমাজ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি বিরাজমান। ৯ মে আগরতলার উত্তর বাধারঘাটের উন্নয়ন সংঘ আয়োজিত কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মবার্ষিকীতে কবি প্রণাম অনুষ্ঠান এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পাঠাগারের উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের চিন্তা চেতনা, সংস্কৃতি, সমাজ জীবন, দেশপ্রেম সবকিছুতেই জড়িয়ে আছেন। আমাদের কৃষ্টি সংস্কৃতির ঐতিহ্য কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তুলে ধরেছেন। আর এই কৃষ্টি সংস্কৃতির ঐতিহ্যকে সামনে রেখে এগিয়ে যেতে হবে। উপন্যাস, ছোটগল্প, নাটক, কবিতা, সঙ্গীত, বিচিত্র ধরনের প্রবন্ধ, চিত্রাঙ্কন ইত্যাদি বিষয়ে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অমর সৃষ্টির মর্মার্থ যদি আমাদের জীবনে কিছুটা হলেও গ্রহণ করতে পারি তাহলে আমাদের জীবন অনেকটা পরিপূর্ণতা পাবে।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত দুটি গান এই উপমহাদেশের দুটি দেশ ভারত ও বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের মর্যাদা পেয়েছে। রাজন্য আমল থেকেই ত্রিপুরার সাথে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটা সম্পর্ক ছিল। মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মাণিক্য বাহাদুর রবি ঠাকুরকে ভারত ভাস্কর উপাধিতে ভূষিত করেন। কবি সাতবার ত্রিপুরায় এসেছিলেন। ত্রিপুরাকে নিয়ে তাঁর সৃষ্টি রাজর্ষি, মুকুট, বিসর্জন বিভিন্ন ভাষায়ও অনুবাদ করা হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে চিন্তা করলে এক সময় মনে হয় তিনি নিজেই একটি বিরাট প্রতিষ্ঠান। মুখ্যমন্ত্রী উন্নয়ন সংঘের উদ্যোগে এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ক্লাব পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে নিরপেক্ষভাবে মানুষের সমস্যাগুলি সমাধানে ক্লাবগুলিকে এগিয়ে আসতে হবে। তবেই ক্লাবের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়বে।
অনুষ্ঠানে আগরতলা পুরনিগমের মেয়র দীপক মজুমদার বলেন, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিন্তা চেতনা, ভাবনা, বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে সারা রাজ্যে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী উদযাপন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এই পাঠাগারটি হওয়ায় এলাকার বইপ্রেমী নাগরিক এবং প্রবীণদের অনেকটাই সুবিধা হবে। অনুষ্ঠানে এছাড়াও আগরতলা পুরনিগমের কর্পোরেটর অলক রায়, কর্পোরেটর অভিজিৎ মল্লিক, সংখ্যালঘু উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান তাপস ভট্টাচার্য, বিশিষ্ট সমাজসেবী ও ক্রীড়াবিদ সঞ্জয় সাহা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উন্নয়ন সংঘ ক্লাবের সম্পাদক পার্থ সরকার। উপস্থিত ছিলেন উন্নয়ন সংঘ ক্লাবের সভাপতি প্রণব সাহা।