Hare to Whatsapp
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হচ্ছেন ভারতীয় সংস্কৃতির প্রাণপুরুষ : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, মে ১০, : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হচ্ছেন ভারতীয় সংস্কৃতির প্রাণপুরুষ। ভারতীয় সমাজ, চেতনা, সংস্কৃতি ও দেশপ্রেমে জড়িয়ে রয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে ৯ মে সকালে রবীন্দ্র কাননে আয়োজিত প্রভাতী কবি প্রণাম অনুষ্ঠানে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা। অনুষ্ঠানে নবআঙ্গিকে শিশু শিল্পীদের দ্বারা রবীন্দ্র নৃত্য, সঙ্গীত, আবৃত্তি পরিবেশিত হয়।
প্রভাতী কবি প্রণাম অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা বলেন, জীবনে চলার পথে যে কোনও ধরনের পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের পথ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত গান, নাটক, উপন্যাস, ছোটগল্প, প্রবন্ধ, কবিতা থেকে পাওয়া যায়। তাঁর রচিত গান ভারত এবং বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে মর্যাদা লাভ করেছে। তিনি বলেন, আক্ষরিক অর্থে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টির কোনও মৃত্যু নেই। কবিগুরুর অমর সৃষ্টি চিরকাল মানুষের কাছে সমাদৃত হবে। ত্রিপুরার সাথে কবিগুরুর সম্পর্ক নিয়ে আলোচনায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মহারাজা বীরচন্দ্রের আমল থেকেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাথে গভীর সম্পর্ক ছিল এই রাজ্যের। যা মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মাণিক্য পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। ভুবনেশ্বরী মন্দিরের পটভূমিকায় কবিগুরুর রচিত রাজর্ষি, বিসর্জন ও মুকুট সমস্ত বিশ্বের সামনে রাজ পরিবারের মহিমাকে তুলে ধরেছিল। অনুষ্ঠান মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী ডা. সাহা নিজের ছাত্র জীবনকালের রবীন্দ্রজয়ন্তী উদযাপনের স্মৃতিচারণা করে এদিন তিনি ইংরেজিতে অনুবাদিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি কবিতাও পাঠ করেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব পি কে চক্রবর্তী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাধিপতি হরিদুলাল আচার্য, মুখ্যসচিব জে কে সিনহা, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা রতন বিশ্বাস প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিগণ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মর্মর মূর্তিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।