Hare to Whatsapp
বৈচিত্রের মাঝে ঐক্যই ভারতবর্ষের চিরন্তন ঐতিহ্য : মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, মে ৬, : বৈচিত্রের মাঝে ঐক্যই ভারতবর্ষের চিরন্তন ঐতিহ্য। আমাদের দেশে বিভিন্ন ধর্ম, সম্প্রদায় ও নানা ভাষাভাষীর মানুষ রয়েছেন। তা সত্বেও আমরা সবাই এক ও অভিন্ন। ৫ মে আগরতলার বেনুবন বুদ্ধ বিহারে বৈশাখী বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে নানা ধর্মের লোক থাকা সত্বেও সকলের মধ্যে মৈত্রীর বন্ধন রয়েছে। আমাদের প্রকৃত পরিচয় হচ্ছে আমরা মানুষ। ভগবান বুদ্ধ আমাদের মানুষকে ভালোবাসতে এবং শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে শিখিয়েছেন। ভগবান বুদ্ধ তাঁর অহিংসা এবং ভ্রাতৃত্ব বন্ধনের মাধ্যমে মানুষকে এক করার প্রয়াস করে গেছেন। বুদ্ধের এই নীতিগুলিকে অনুসরণ করে আমাদের জীবনে এগিয়ে যেতে হবে। ভগবান বুদ্ধের দেখানো পথেই প্রধানমন্ত্রী সবকা সাথ সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস, সবকা প্রয়াসের মন্ত্র গ্রহণ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এধরণের উৎসব বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে একে অপরের প্রতি ভালবাসার বন্ধনকে সুদৃঢ় করে। আত্মা, মন ও শরীর এক সাথে সঠিকভাবে গড়ে উঠলেই মানুষের প্রকৃত বিকাশ ঘটে। তখন মানুষ অন্যদের কল্যাণেও এগিয়ে আসতে পারে।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী জানান, আগরতলার বেনুবন বিহারের স্কুল ও সেন্টারটির উন্নয়নে সরকার সদর্থক ভূমিকা নেবে। মুখ্যমন্ত্রী এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত, এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়ার লক্ষ্যে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এমবিবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সত্যদেও পোদ্দার, বিবেকনগরস্থিত রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পাদক স্বামী শুভাকারানন্দ মহারাজ, আমেরিকার আটলান্টার মহাবোধি ওভারসিজ সেন্টারের ডিরেক্টর নিয়ানি রাখিতা, আগরতলার বেনুবন বুদ্ধ বিহারের অ্যাক্টিং ইনকামবেন্ট খেমাছড়া। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক তুষার কান্তি চাকমা। অনুষ্ঠানে পশ্চিম ত্রিপুরার জেলাশাসক দেবপ্রিয় বর্ধনও উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে আয়োজিত বসে আঁকো প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়। তাছাড়াও অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বেনুবন বুদ্ধ বিহার প্রাঙ্গণে নাগেশ্বর গাছের চারা রোপণ করেন।