Hare to Whatsapp
মৎস্য উৎপাদনে রাজ্যকে স্বয়ম্ভর করে তুলতে সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে : মৎস্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, মে ৫, : গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশে প্রাণীসম্পদ পালন ও মৎস্যচাষের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। রাজ্য সরকার প্রাণীপালন ও মৎস্যচাষের মাধ্যমে রাজ্যের গ্রামীণ এলাকার যুবক যুবতীদের স্বনির্ভর করে তোলার উপর অগ্রাধিকার দিয়েছে। এই দুটি ক্ষেত্রে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারলে অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো সহজ হবে। ঊনকোটি সার্কিট হাউসে ৩ মে প্রাণীসম্পদ বিকাশ ও মৎস্য দপ্তরের এক পর্যালোচনা সভায় প্রাণীসম্পদ বিকাশ ও মৎস্য মন্ত্রী সুধাংশু দাস একথা বলেন। পর্যালোচনা সভায় তিনি আরও বলেন, প্রাণীজ খাদ্য ও মৎস্য উৎপাদনে রাজ্যকে স্বয়ম্ভর করে তুলতে সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে। ঊনকোটি জেলায় যেসব জলাশয় কোন কাজে লাগেনা সেগুলিকে সংস্কার করে মৎস্যচাষের উপযোগী করে তুলতে হবে। বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করার জন্য গ্রামীণ এলাকার বেকার যুবক যুবতীদের উৎসাহিত করতে হবে। তিনি মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্ৰকল্প বাস্তবায়ণে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকদের আরও যত্নবান হওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি আরও বলেন, গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশে প্রাণী সম্পদ ও মৎস্য চাষের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। পর্যালোচনা সভায় জেলার সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বিভিন্ন কর্মসূচির খোঁজখবর নেন।
পর্যালোচনা সভায় প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের উপঅধিকর্তা ডা. সমীরণ সিনহা ও মৎস্য দপ্তরের উপঅধিকর্তা জয়ন্ত চক্রবর্তী গত অর্থবছরে বিভিন্ন প্রকল্পে যে সমস্ত কর্মসূচি রূপায়িত হয়েছে তা তুলে ধরেন। তাছাড়াও সভায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিক আগামী অর্থবছরের কর্মপরিকল্পনাও তুলে ধরেন। পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ঊনকোটি জিলা পরিষদের সভাধিপতি অমলেন্দু দাস, সহকারি সভাধিপতি শ্যামল দাস, কৈলাসহর পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন চপলা দেবরায়, গৌরনগর পঞ্চায়েত সমিতি, পেঁচারথল ব্লক উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যানগণ, প্রাণীসম্পদ বিকাশ ও মৎস্য দপ্তরের প্রধান সচিব বি এস মিশ্র, মৎস্য দপ্তরের অধিকর্তা মোসলেম উদ্দিন আহমেদ, ঊনকোটি জেলার জেলাশাসক তড়িৎ কান্তি চাকমা, কৈলাসহর ও কুমারঘাট মহকুমার মহকুমা শাসকগণ ও জেলার বিভিন্ন ব্লকের বিডিওগণ।