Hare to Whatsapp
গ্রামীণ সংস্কৃতির ঐতিহ্যের ধারা বহন করে আসছে কুমারীকুন্ড মেলা : কৃষিমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, এপ্রিল ২২, : মেলা ও উৎসব গ্রামীণ সংস্কৃতির ঐতিহ্য। এই ঐতিহ্যের ধারা বহন করে আসছে কুমারীকুন্ড মেলা। ২০ এপ্রিল মোহনপুরের গঙ্গাগতিপুরে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সহযোগিতায় এবং ছাত্রবৃন্দ জনতা সংঘের উদ্যোগে দু'দিনব্যাপী কুমারীকুন্ড মেলার উদ্বোধন করে কৃষিমন্ত্রী রতনলাল নাথ একথা বলেন। মেলার উদ্বোধন করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, কুমারীকুন্ড মেলা আমাদের চিরন্তন সংস্কৃতিকে ধরে রেখেছে। সভ্যতা আধুনিক হলেও পুরাতন কৃষ্টি, সংস্কৃতিকে ভুলে গেলে চলবে না। তিনি বলেন, হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতিকে ধরে রাখার জন্য রাজ্য সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, এ ধরণের মেলা ও উৎসব পর্যটন শিল্পের বিকাশেও সহায়ক ভূমিকা নেয়। রাজ্যের ধর্মীয় পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। আমাদের লক্ষ্য এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়ে তোলা। আত্মনির্ভর ত্রিপুরা গড়ে তোলা। এজন্য দরকার সকলের সহযোগিতা। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি কার্যালয়ের সহকারি অধিকর্তা অমৃত দেববর্মা, সিধাই থানার ওসি জয়ন্ত মালাকার, সমাজসেবী শ্যামল দেবনাথ প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন মোহনপুর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান রীনা দেববর্মা, ভাইস চেয়ারম্যান রাকেশ দেব, মোহনপুর পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন অনিতা দেবনাথ, ভাইস চেয়ারপার্সন শংকর দেব প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ছাত্রবৃন্দ জনতা সংঘের সভাপতি বিকাশ দাস। কুমারীকুন্ড মেলা উপলক্ষে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।