Hare to Whatsapp
রাজ্যের জনজাতিদের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির ঐতিহ্য খুবই সমৃদ্ধ : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, এপ্রিল ২০, : রাজ্যের জনজাতিদের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির ঐতিহ্য খুবই সমৃদ্ধ। এই রাজ্যের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে জাতি ও জনজাতিদের মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। এখানেই বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য পরিলক্ষিত হয়। এ সমস্ত উৎসবগুলির মধ্যে শুধুমাত্র নামের পার্থক্য রয়েছে। কিন্তু সব উৎসবই একসূত্রে গাঁথা। ১৯ এপ্রিল কৃষ্ণনগরস্থিত সুপারিবাগানে মহারাণী তুলসীবতী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট আয়োজিত গড়িয়া পূজার উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। এ উপলক্ষে জনজাতিদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং খাদ্য উৎসবের আয়োজন করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের জনজাতিদের কৃষ্টি-সংস্কৃতি ও পরম্পরা যাতে কোনোভাবেই হারিয়ে না যায় সেজন্য রাজ্যের বর্তমান সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের জাতি ও জনজাতিদের ঐক্য বিনষ্ট করার একটা চক্রান্ত চলছে। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি তাহলে কোনওদিনই এই চক্রান্ত সফল হবে না। তিনি বলেন, এই সরকার প্রতিনিয়ত জনজাতিদের উন্নতিতে বিভিন্ন জনকল্যাণমুখী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য সরকারের কিছু সিদ্ধান্তের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, রাজ্যের বিভিন্ন স্থানের নাম ককবরক ভাষায় রাখা হচ্ছে। বড়মুড়া পাহাড়ের নাম হাতাইকতর করা হয়েছে। গন্ডাছড়ার নাম গন্ডাতুইসা রাখা হয়েছে। কামান চৌমুহনির আইল্যান্ডে মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মাণিক্যের আবক্ষ মূর্তি বসানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও জনজাতিদের কল্যাণে আন্তরিক। রাজ্য সরকার প্রধানমন্ত্রীর দিশায় জনজাতিদের সার্বিক বিকাশে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রীর ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির জন্যই উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিকাশে অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি গ্রহণ করা হয়েছে। এই নীতির ফলে আগামীদিনে ত্রিপুরা সহ উত্তর পূর্বাঞ্চলের আর্থসামাজিক মানোন্নয়নে বিরাট পরিবর্তন আসবে।
অনুষ্ঠানে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায় বলেন, রাজ্যের জাতি জনজাতির মানুষের ঐক্যই উন্নয়নের অন্যতম শক্তি। অনুষ্ঠানে তাছাড়াও বক্তব্য রাখেন জনজাতি কল্যাণমন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহারাণী তুলসীবতী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের সভাপতি বিপিন দেববর্মা। উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা শিল্প উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান নবাদল বণিক, কর্পোরেটর ভাস্বতী দেববর্মা প্রমুখ।