Hare to Whatsapp
রক্তদানের চেয়ে বড় উপহার আর কিছু হয় না : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, এপ্রিল ১৯, : রক্ত ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারে না। সকলের কাছে এই রক্ত হচ্ছে একটি অমূল্য সম্পদ। রক্তদানের চেয়ে বড় উপহার আর কিছু হয় না। একজন রক্তদাতার রক্তদানের মাধ্যমে একজন নয়, আরও তিন-চারজন মানুষ উপকৃত হতে পারেন। ১৮ এপ্রিল আগরতলার আইজিএম হাসপাতালের ড. বি আর আম্বেদকর মেমোরিয়াল নার্সিং স্কুলের সেমিনার হলে অল ত্রিপুরা গভর্নমেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের পশ্চিম জেলা কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা। রক্তদান শিবিরে মুখ্যমন্ত্রী রক্তদাতাদের সাথে মিলিত হয়ে তাদের উৎসাহ দান করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রক্তের কোনও ধর্ম, লিঙ্গ বা রাজনৈতিক রং হয় না। রক্তদান মনে করিয়ে দেয় আমরা সবাই এক।
রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় রাজ্যের ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিতে রক্তের স্বল্পতা দেখা দিয়েছিল। রক্তের এই চাহিদা এবং যোগানের মধ্যে অসমতা দূর করতে নির্বাচনের পর রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জনসাধারণকে রক্তদানে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানানো হয়। এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে রক্তের স্বল্পতা দূর করতে রাজ্যের মানুষ যেভাবে এগিয়ে এসেছেন তা রক্তদানকে এক জনজাগরণে পরিণত করেছে। মানুষ মানুষের জন্য তা প্রমান করেছে। অল ত্রিপুরা গভর্নমেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আজকের দিনে রাজ্যের প্রত্যেকটি জেলায় এধরণের রক্তদান কর্মসূচি গ্রহণ করায় মুখ্যমন্ত্রী তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এই ধরনের উদ্যোগ আগামীদিনেও অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রক্ত যাতে কোনও ভাবে নষ্ট না হয় সেই দিকে লক্ষ্য রেখে রক্তের চাহিদা এবং যোগানের মধ্যে সমতা বজায় রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ড্রাগস মুক্ত রাজ্য গঠনে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, রাজ্য সরকার ড্রাগসের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। পাশাপশি নিজ নিজ এলাকায় ড্রাগসে আসক্ত বা ড্রাগস'র সাথে যুক্তদের চিহ্নিত করে সরকারের নজরে নিয়ে আসতে মুখ্যমন্ত্রী সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, স্বাস্থ্য সচিব ড. দেবাশিস বসু, আইজিএম হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট ডা. সুমিত দেববর্মা উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অল ত্রিপুরা গভর্নমেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক ডাঃ কনক চৌধুরী। ধন্যবাদসূচক বক্তব্য রাখেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. প্রদীপ কুমার দেববর্মা।