Hare to Whatsapp
সমাজের সবার স্বাস্থ্য সুরক্ষায় চিকিৎসকদের গুরুদায়িত্ব রয়েছে : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, এপ্রিল ৯, : চিকিৎসকগণ সমাজের সর্বোত্তম পেশার সঙ্গে যুক্ত। চিকিৎসকদের কাছে সমাজের প্রত্যেকটি মানুষ সমান। সমাজের সবার স্বাস্থ্য সুরক্ষায় তাদের গুরুদায়িত্ব রয়েছে। ৮ এপ্রিল আইএমএ হাউসে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের ত্রিপুরা রাজ্য শাখার উদ্যোগে ৫৩তম অল ত্রিপুরা মেডিক্যাল কনফারেন্সের সায়েন্টিফিক সেশনে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। তিনি বলেন, ডাক্তারি যেমন একটি পেশা, আবার একটি কল্যাণকর কর্তব্যও বটে। তাই সমাজের প্রত্যেকটি নাগরিককে সমান দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে চিকিৎসা করতে পারাই এই পেশার স্বার্থকতা।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অনেক সময়ই দেখা যায় চিকিৎসক বা চিকিৎসার কাজে নিযুক্ত কর্মীরা বিভিন্নভাবে আক্রান্ত হন৷ সেইক্ষেত্রে স্বাস্থ্য পরিষেবার সুযোগ নিতে আসা মানুষের মনে রাখা প্রয়োজন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা আমাদের সমাজের লোক। ডাক্তাররা হলেন সমাজের প্রকৃত বন্ধু। তাই প্রত্যেককে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি আস্থাশীল ও সহনশীল হতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান সরকার চিকিৎসকদের কল্যাণে আন্তরিক। এই সরকার ২০২২ সালে ত্রিপুরা হেলথ সার্ভিস রুলসের সংশোধন করেছে। এই রুলস অনুযায়ী মেডিক্যাল অফিসারদের স্পেশালিস্ট ক্যাডার এবং জেনারেল ডিউটি মেডিক্যাল অফিসার ক্যাডারে বিভক্ত করা হয়েছে। ত্রিপুরাতে মেডিক্যাল পড়ুয়াদের আসন সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। এছাড়াও রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতিতেও বর্তমান সরকার দ্রুতগতিতে কাজ করে চলছে। সুপার স্পেশালিটি ওপিডি চালু করা হয়েছে। কার্ডিও থেকে শুরু করে নিউরো সহ চিকিৎসা পরিষেবার সব ক্ষেত্রে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নতির দিকে এগোচ্ছে। রাজ্যের তিনটি স্থানে ট্রমা সেন্টার চালু করা হয়েছে। প্রাইমারি হেলথ সেন্টারগুলিকে ওয়েলনেস সেন্টারে উন্নীতকরণ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের একমাত্র সরকারি ডেন্টাল কলেজ স্থাপন করা হয়েছে। রাজ্যে উত্তর পূর্বাঞ্চলের মধ্যে বৃহত্তম অক্সিজেন প্ল্যান্ট চালু করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের সামগ্রিক চিকিৎসা ব্যবস্থাকে আধুনিক ও গণমুখী করে তোলার প্রয়াস নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষও যাতে রাজ্যের উন্নত চিকিৎসা পরিষেবার সুযোগ নিতে পারে সেই লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কর্মযজ্ঞ চালু রেখেছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের চিকিৎসকরা চিকিৎসা ক্ষেত্রে অনেক বড় বড় সাফল্য অর্জন করছে। মুখ্যমন্ত্রী সম্মেলনের সার্বিক সফলতা কামনা করেন। মুখ্যমন্ত্রী ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের ত্রিপুরা রাজ্য শাখার ৫৩তম সম্মেলন উপলক্ষে একটি স্মরণিকাও প্রকাশ করেন। সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডা. রাজীব দেবনাথ। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ডা. দামোদর চ্যাটার্জি। ধন্যবাদসূচক বক্তব্য রাখেন ডা. অভিজিৎ দত্ত।