Hare to Whatsapp
রাজ্যে ব্রু শরণার্থীদের স্থায়ী পুনর্বাসনের প্রক্রিয়ার কাজ এগিয়ে চলেছে : প্রধান সচিব পুনিত আগরওয়াল
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, এপ্রিল ৭, : রাজ্যে ব্লু শরণার্থীদের স্থায়ী পুনর্বাসনের প্রক্রিয়ার কাজ এগিয়ে চলেছে। চতুপক্ষীয় চুক্তি অনুসারে ৬ হাজার ৩০২টি ব্লু পরিবারকে রাজ্যে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ১১টি স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ব্লু শরণার্থী পরিবারগুলি তাদের পছন্দ অনুসারে চিহ্নিত পুনর্বাসিত জায়গায় স্থানান্তরিত হচ্ছে এবং তাদের বাসস্থানের জন্য ইতিমধ্যেই ৩ হাজার ২৪৯টি গৃহ নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ৬ এপ্রিল সচিবালয়ের প্রেস কনফারেন্স হলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানান রাজস্ব দপ্তরের প্রধান সচিব পুনিত আগরওয়াল। তিনি জানান, তিনটি সমান কিস্তিতে পুনর্বাসিত ব্লু শরণার্থী পরিবারগুলিকে বসতঘর নির্মাণের জন্য দেড় লক্ষ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। পুনর্বাসিত ব্রু শরণার্থী পরিবারদের মধ্যে আরওআর, রেশন কার্ড, আধারকার্ড, এসটি সার্টিফিকেট, পিআরটিসি, এমজিএনরেগার জব কার্ড, ভোটার কার্ড ইত্যাদি সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়েছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে রাজস্ব দপ্তরের প্রধান সচিব শ্রীআগরওয়াল জানান, দুর্যোগজনিত পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য ৮০০ জন আপদা মিত্রকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। স্টেট ইমার্জেন্সি অপারেশনের সেন্টার সহ রাজ্যের ৮টি ডিস্ট্রিক্ট ইমার্জেন্সি সেন্টারে হ্যাম রেডিও স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে। ধলাই, পশ্চিম ত্রিপুরা ও গোমতী জেলায় তিনটি রিপিটার স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে। দূর্যোগ মোকাবেলার ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থাপনা সমূহ অনেক সহায়তা করবে বলে প্রধান সচিব আশা ব্যক্ত করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে রাজস্ব দপ্তরের প্রধান সচিব জানান, সদ্য সমাপ্ত বিধানসভার অধিবেশনে ‘দ্যা ইন্ডিয়ান স্ট্যাম্প (ত্রিপুরা ৬ষ্ঠ সংশোধনী) অ্যাক্ট, ২০২৩’ বিলটি পাশ করা হয়েছে। মহিলা ক্ষমতায়নের উদ্দেশ্যে এবং তাদের সুবিধার্থে এই বিলটি পাশ করা হয়েছে বলে তিনি জানান। রাজ্যপালের সম্মতিক্রমে রাজ্যে এই আইনটি কার্যকর হবে বলে প্রধান সচিব উল্লেখ করেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধান সচিব ল্যান্ড রেকর্ড এন্ড স্যাটেলমেন্ট দপ্তরের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনলাইন পরিষেবা চালুর বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন। এই প্রসঙ্গে তিনি অনলাইনে মিউটেশনের জন্য আবেদনের সুযোগ, অনলাইনের মাধ্যমে রেভিনিউ কোর্ট কেইসগুলি বর্তমান অবস্থা জানার, ল্যান্ড ডিমারকেশন পরিষেবা অনলাইন এবং সিএসসি-র মাধ্যমে আবেদনের সুযোগ, অনলাইনের মাধ্যমে ল্যান্ড রেভিনিউ জমা, ভূ-নকশা পরিষেবা ইত্যাদি দপ্তরের অনলাইন পরিষেবার তথ্য তুলে ধরেন। তিনি জানান, এখন থেকে নাগরিকরা তাদের নিজস্ব খতিয়ানের বর্তমান অবস্থা সংবিধান স্বীকৃত ভাষায় জানার সুযোগ পাবেন। সাংবাদিক সম্মেলনে রাজস্ব দপ্তরের বিশেষ সচিব অনিন্দ্য ভট্টাচার্য্য, ল্যান্ড রেকর্ডস এবং স্যাটেলমেন্ট দপ্তরের অধিকর্তা রত্নজীত দেববর্মা, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের স্টেট প্রজেক্ট অফিসার শরৎ দাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।