Hare to Whatsapp
সম্মেলনে গ্রিন হাইড্রোজেন, সমুদ্র থেকে প্রাপ্ত শক্তি ও শক্তি সংরক্ষণ সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, এপ্রিল ৪, : আবহাওয়ার পরিবর্তন মোকাবিলা করা ও সুস্থায়ী উন্নয়ন একা কোন দেশের পক্ষে করা সম্ভব নয়। এটা বিশ্বব্যাপী সমস্যা। এজন্যই জি-২০ বিজ্ঞান সম্মেলন। এই সমস্যা সমাধানে আমাদের গ্লোবাল ফোর্স হিসেবে কাজ করতে হবে। জি-২০ সম্মেলনের অঙ্গ হিসেবে ৩ এপ্রিল আগরতলায় বিজ্ঞান-২০ সম্মেলনে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। জি-২০ সম্মেলনের মূল ভাবনা হলো ‘ওয়ান আর্থ, ওয়ান ফেমিলি, ওয়ান ফিউচার অর্থাৎ এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যত। আজ বিকেলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বলেন, জি-২০ বিজ্ঞান সম্মেলনে অংশ নেওয়া ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল সায়েন্স একাডেমির সভাপতি আশুতোষ শর্মা। উপস্থিত ছিলেন ভারত সরকারের প্রিন্সিপাল সায়েন্টিফিক উপদেষ্টা প্রফেসর অজয় সুদ।
সাংবাদিক সম্মেলনে সভাপতি শ্রী শর্মা জানান, বিজ্ঞান-২০ সম্মেলনের মূল ভাবনা হলো ‘সবুজতর ভবিষ্যতের জন্য পরিচ্ছন্ন বিদ্যুৎ' (ক্লিন এনার্জি ফর গ্রিনার ফিউচার)। এই সম্মেলনে ১০টি দেশের বিজ্ঞানীগণ অংশ নিয়েছেন। অন্যান্য সদস্য দেশের বিজ্ঞানীগণ বিভিন্নভাবে তাদের অভিমত জানিয়েছেন। তিনি জানান, আমাদের সুস্থায়ী উন্নয়ন ও আবহাওয়ার পরিবর্তন মোকাবিলা করার জন্য ক্লিন এনার্জি খুবই প্রয়োজন। এ বিষয়ে বিশ্বে নতুন নতুন আবিষ্কার আমাদের আশার সঞ্চার করছে। ক্লিন এনার্জির বিষয়ে আলোচনায় তিনটি বিষয় সবথেকে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। এগুলি হলো, গ্রিন হাইড্রোজেন, সমুদ্র থেকে প্রাপ্ত শক্তি এবং শক্তি সংরক্ষণ। তিনি বলেন, ভবিষ্যতের জন্য শক্তি সংরক্ষণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সাংবাদিক সম্মেলনে শ্রী শর্মা জানান, বিদেশ থেকে এবং ভারতের বিভিন্ন জায়গা থেকে সম্মেলনে যোগ দিতে যারা আগরতলায় এসেছেন তারা দারুণ অভিজ্ঞতা নিয়ে এখান থেকে ফিরে যাবেন। এই রাজ্যের মানুষের আতিথেয়তা, সংস্কৃতি ও রাজ্য সরকারের ব্যবস্থাপনা তারা সব সময় স্মরণ করবেন। সাংবাদিক সম্মেলনে প্রিন্সিপাল সায়েন্টিফিক উপদেষ্টা প্রফেসর অজয় সুদ বলেন, গ্রিন হাইড্রোজেন উৎপাদন করার লক্ষ্যে ভারত সরকার ১৮,০০০ কোটি টাকার গ্রিন হাইড্রোজেন মিশন চালু করেছে। এর পেছনে মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ২০৭০-এর মধ্যে নেট জিরো কার্বন এমিশন অর্জন করা। সাংবাদিক সম্মেলনে শিল্প বাণিজ্য দপ্তরের সচিব তথা জি-২০ সম্মেলনের নোডাল অফিসার অভিষেক চন্দ্রাও উপস্থিত ছিলেন।