Hare to Whatsapp
ঔষুধ জরুরি পরিষেবার অন্তর্ভুক্ত, কেন ঔষুধের দোকানের ঝাপ বন্ধ থাকবে?
By Our Correspondent
আগরতলা, মার্চ ৩১, : প্রায় গোটা বিশ্ব করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আতঙ্কে। বিশ্ববাসীর বেঁচে থাকার আশা অনিশ্চিতয়তার দোলায়। লকডাউনে বন্দী এ জীবন। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই। সবাইতো আমরা বেঁচে থাকতে চাই। কে না বেঁচে থাকতে চায়? কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার যৌথভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে সংক্রমণ রোধ মোকাবেলায়। অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলিও এক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী নয়। নিউজ পোর্টাল ত্রিপুরাইনফো ডটকম সচেতনতায় এগিয়ে রয়েছে। রাজ্যের অধিকাংশ সংবাদপত্র বন্ধ। তবে কয়েকটি অনলাইন সংস্করণ চালু রেখেছে। স্যন্দন, জাগরন ও আরো কয়েকটি।
অবাক করার বিষয় ক্রান্তিকালীন সময়ে রাজধানীর ঔষুধ বিক্রেতাদের একটি বড় অংশ যে ভূমিকা অবলম্বন করে চলেছে তা মানবসভ্যতার সম্পূর্ণ পরিপন্থী। এরা ষ্টোরের ঝাঁপ লাগিয়ে ভেতরে বসে আছে আর পেছনের দরজা দিয়ে মুনাফা লুটছে। অদ্ভুত পরিস্থিতি। অথচ ঔষুধ জরুরি পরিষেবার অন্তর্ভুক্ত। কেন ঔষুধের দোকানের ঝাপ বন্ধ থাকবে?
প্রশ্নই উঠেনা। অথচ লক ডাউনের সময় এগুলো আরো বেশী সময় খোলা রাখার কথা। কেননা ঔষুধ কার না প্রয়োজন? ঔষুধের জন্য মানুষ শহরের নানা অংশে চক্কর কাটছে। বটতলা, কামান চৌমুহনী ,শ্যামলী বাজার, জিবি, এডিনগর সবখানেই হয় বন্ধ, নয় সেই ভাঙ্গা রেকর্ড নেই নেই বাজছে। আশা মেডিক্যাল, সর্বমঙ্গলা, ছবি ম্যাডিকাল বন্ধ।
আর সাধারণ মানুষ জন ঘুরছে। বেশী ঘোরাও যায় না আবার খোঁজা ও যায় না। কারন ভয় পুলিশের ঠ্যাঙানি খাওয়ার।
ত্রিপুরাইনফো এই জরুরী বিষয়/ পরিষেবা নিয়ে খবর করেছে বা করছে কিন্তু স্বাস্থ্য দপ্তরের হেলদোল নেই। প্রশ্ন কেন এরা নির্বাক হয়ে থাকবে? এদের পকেট ভরে যাওয়াই বড় কথা!
মুখ্যমন্ত্রী বলুন, আইনমন্ত্রী বলুন এদের তো সাংবিধানিক দায়িত্ব আছে। কেন এরা উদাসীন? মুখ্যমন্ত্রীর তো এমন হওয়ার কথাই নয়। হয়তো বা এই ভয়াবহ সমস্যা থেকে বিপ্লব দেবকে অন্ধকারে রেখে দিয়েছে তার করিৎকর্মা পারিষদদের একাংশ। এই ঔষুধ সংকট চলতে থাকলে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ আছড়ে পড়তে পারে।
একদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সংকট, রকেট গতিতে মূল্যবৃদ্ধি আর ঔষুধের কৃত্রিম সংকট কিন্তু রাজ্যের স্বাভাবিক পরিস্হিতিকে অস্হির করে তোলার আশঙ্কা বৃদ্ধি করে চলেছে।