Hare to Whatsapp
পুষ্পবন্ত প্রাসাদকে আন্তর্জাতিক মানের মিউজিয়াম হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, মার্চ ৩০, : পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী ২৯ মার্চ সার্কিট হাউজ সংলগ্ন পুষ্পবন্ত প্রাসাদটি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। দুপুরে মন্ত্রী শ্রী চৌধুরী এই প্রাসাদ প্রাঙ্গণে এসে পৌঁছালে ত্রিপুরা পর্যটন উন্নয়ন নিগম লিমিটেডের পক্ষ থেকে তাঁকে পুষ্পস্তবক দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। রাজ্য সরকার পুষ্পবন্ত প্রাসাদটিকে একটি আন্তর্জাতিক মানের মিউজিয়াম হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। পর্যটন মন্ত্রী পুষ্পবন্ত প্রাসাদ এবং দরবার হলটি ঘুরে ঘুরে দেখেন। তিনি ত্রিপুরা পর্যগন উন্নয়ন নিগম লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর তপন কুমার দাস, নয়াদিল্লিস্থিত কে এন ও এস পি-ই এবং সিও এল এল পি কোম্পানীর প্রজেক্ট ম্যানেজার অভিজিৎ নন্দীর সাথে কথা বলেন। কাজের ড্রয়িং ও ডিজাইন খুঁটিয়ে দেখেন। তিনি র্যাক্টোফিটিংয়ের কাজে গুণগতমান বজায় রাখার পরামর্শ দেন। পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, আগামী প্রজন্মের সামনে হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতি ও রাজন্য আমলের সংস্কৃতিকে তুলে ধরার জন্য রাজ্য সরকার এই পুষ্পবন্ত প্রাসাদকে একটি আন্তর্জাতিক মানের মিউজিয়াম হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি বলেন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই প্রসাদে পদার্পণ করেছেন। গত অক্টোবর মাস থেকে এখানে র্যাক্টোফিটিং এর কাজ শুরু হয়েছে। আশা করা যায় গুণমান বজায় রেখে আগামী ২ বছরের মধ্যে এই মিউজিয়াম রাজ্যবাসীর কাছে উৎসর্গ করা যাবে। এতে হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতি এবং রাজন্য আমল থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত যে ঘটনাবলী তা সংরক্ষিত করা হবে। থাকবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আলাদা গ্যালারী সহ অন্যান্য গ্যালারী, পাঠাগার, ফিল্ম এন্ড ভিডিও গ্যালারী, প্রশাসনিক ভবন প্রভৃতি। তিনি বলেন, এখানে আন্তর্জাতিক মানের মিউজিয়াম গড়ে উঠলে দেশী ও বিদেশী পর্যটকের আগমন যেমন বাড়বে তেমনি রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে। বিশ্বের দরবারে ত্রিপুরার পর্যটন শিল্পকেকে আরও আকর্ষনীয় করে তোলা যাবে।