Hare to Whatsapp
ত্রিপুরা ভারতবর্ষের এক ক্ষুদ্র সংস্করণ : প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, মার্চ ২৬, : ত্রিপুরা ভারতবর্ষের এক ক্ষুদ্র সংস্করণ। এখানে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সমাহার রয়েছে। বসন্ত উৎসব মানে একটা নতুন অধ্যায়ের সূচনা। ২৫ মার্চ সদর কুমার ডুকলি ব্লকের নারায়ণ খামারস্থিত দুর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর আয়োজিত বসন্ত উৎসবের উদ্বোধন করে একথাগুলি বলেন রাজ্যের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা। তিনি বলেন, সংস্কৃতি হল প্রার্থনা। সংস্কৃতিচর্চা, নাচ, গান এইসব আমাদের এবং আমাদের দেশের পরিচয় বহন করে। অনুষ্ঠানে শ্রী দেববর্মা আরও বলেন নতুন ত্রিপুরা তৈরী হচ্ছে। এই ত্রিপুরার মূল পরিচয় হবে সংস্কৃতি। সংস্কৃতির মধ্যেই নিহিত রয়েছে গোটা সমাজের উন্নয়নের দিশা। তাই সংস্কৃতির উন্নতি আবশ্যক। রাজ্য সরকার সংস্কৃতিচর্চা এবং সংস্কৃতির উন্নয়নে আন্তরিক। সংস্কৃতি সমাজে মানুষের মধ্যে মিলনের বন্ধন তৈরী করে। সমাজে তখনই অস্থিরতা তৈরী হয়, শান্তি বিনষ্ট হয় যখন সংস্কৃতি পিছিয়ে যায়। ত্রিপুরা রাজ্যের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি তৈরীতে মণিপুরী সম্প্রদায়ের বসন্ত, মহারাস, লাইহারবা, খোবাইছি বিশেষ অবদান রাখে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে বিধায়ক রামপ্রসাদ পাল বলেন, বসন্ত মানে সৃজনের ঋতু। বসন্ত উৎসব সকলকে এক সুতোয় মিলনের বাঁধনে আবদ্ধ রাখে। তিনি বলেন, ত্রিপুরা কৃষ্টি ও সংস্কৃতির পিঠস্থান। এখানকার জনগণের সৎ নিষ্ঠা মানসিকতা রাজ্যের উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডুকলি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য নারায়ণ চক্রবর্তী, চৌমুহনীবাজার পঞ্চায়েতের প্রধান মানিক সরকার। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ রাখেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সহঅধিকর্তা অমৃত দেববর্মা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট সমাজসেবক বরদা কান্ত সিংহ। অনুষ্ঠানে মণিপুরী সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য মেনে বসন্ত উৎসব এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।