Share Whatsapp

চিন্তা চেতনার প্রসারের জন্য বই পড়া অত্যন্ত প্রয়োজন : মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদন

আগরতলা, ২৫ , : বই পড়লে সেই পড়া মন এবং মস্তিষ্কে গেঁথে থাকে। বইয়ের কোনও বিকল্প নেই। চিন্তা চেতনার প্রসারের জন্য বই পড়া অত্যন্ত প্রয়োজন। ২৪ মার্চ হাঁপানিয়া আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গণে ৪১তম আগরতলা বইমেলার উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। ‘বসুধৈব কুটুম্বকম, আগরতলা বইমেলা” এই থিম নিয়ে আজ থেকে হাঁপানিয়া আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে ১৩ দিনব্যাপী ৪১তম আগরতলা বইমেলা। বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য অতিথিগণ বাংলা ও ককবরকে বইমেলার থিম সং, স্মরণিকা, গোমতী'র বইমেলা সংখ্যার আবরণ উন্মোচন করেন।

বইমেলার উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আজকের এই বইমেলা প্রাঙ্গণে উপস্থিত হয়ে উচ্ছ্বসিত জনতার ভিড় আমাকে আপ্লুত করেছে। এক অদ্ভুত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে বই এবং নবীন প্রজন্মের উপস্থিতিতে। ১৯৮১ সালে শুরু হওয়া বইমেলা আজ অনন্য কলেবরে হাঁপানিয়া আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ডিজিটাল যুগে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বই পড়ার হার হ্রাস পেয়েছে। বই না পড়লে শরীরের মধ্যে সুচিন্তিত চেতনার অভাব বোধ হয়। মুখ্যমন্ত্রী বইমেলায় ছাত্রছাত্রীদের পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি অন্যান্য বই কেনার জন্য আহ্বান জানান। মুখ্যমন্ত্রী নিজের কৈশোর অবস্থার স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে বলেন, সেই সময় নতুন বই হাতে পাওয়ার জন্য তারা বীরচন্দ্র স্টেট সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সামনে লাইন দিতেন। বইমেলা উপলক্ষে স্টলের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় তিনি আয়োজক তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের প্রশংসা করেন। আগামীদিনেও বইমেলার পরম্পরা বজায় থাকার পাশাপাশি এর শ্রীবৃদ্ধি ঘটবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পর্যটনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, ডিজিটাল যুগে বইয়ের চাহিদা কমলেও এর গুরুত্ব আজও অমলিন। বইমেলায় লেখক, প্রকাশক, পাঠক ও পাঠিকাদের মধ্যে জ্ঞান এবং মননের যে আদান প্রদান হয় সেটাই মুখ্য। অনুষ্ঠানে পর্যটনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীর আগ্রহে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরকে আগামীদিনে জেলা এবং মহকুমা স্তরে বইমেলা আয়োজন করার জন্য পরামর্শ দেন। পর্যটনমন্ত্রী আরও বলেন, এই রাজ্যের প্রতিটি বইমেলাতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকেন। কারণ এপার এবং ওপার বাংলার মানুষ সকলেই একে অপরের পরিপূরক।

হাঁপানিয়া আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গণে বইমেলা আয়োজনের গুরুত্ব বুঝাতে গিয়ে পর্যটনমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের নিরিখে আগরতলা শহরের আয়তন বাড়ছে। তাই বর্ধিত এলাকাগুলিতে এবং সময়ের দাবি মেনে আগরতলা বইমেলা এবং এর মতো অন্যান্য বড় বড় কর্মসূচিগুলিকে আগরতলা শহরের মূল কেন্দ্রের বাইরে আয়োজন করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের এমপি প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, বাংলা ভাষাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এই ধরনের বইমেলার আয়োজন অত্যন্ত জরুরি। বইমেলা হলো পাঠক, লেখক, প্রকাশকদের মিলন মেলা। তিনি এতো বড় বইমেলা সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করার জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বিধায়ক রামপ্রসাদ পাল, বিধায়ক মিনা রাণী সরকার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব ড. পি কে চক্রবর্তী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য অতিথিগণ ৪১তম আগরতলা বইমেলার থিম প্যাভেলিয়ন, ফটো এক্সিবিশন গ্যালারি, বাংলাদেশ প্যাভেলিয়ন ইত্যাদির উদ্বোধন করেন ও পরিদর্শন করেন।


You can post your comments below  
নিচে আপনি আপনার মন্তব্য বাংলাতেও লিখতে পারেন।  
বিঃ দ্রঃ
আপনার মন্তব্য বা কমেন্ট ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষাতেই লিখতে পারেন। বাংলায় কোন মন্তব্য লিখতে হলে কোন ইউনিকোড বাংলা ফন্টেই লিখতে হবে যেমন আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড (Avro Keyboard)। আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ডের সাহায্যে মাক্রোসফট্ ওয়ার্ডে (Microsoft Word) টাইপ করে সেখান থেকে কপি করে কমেন্ট বা মন্তব্য বক্সে পেস্ট করতে পারেন। আপনার কম্পিউটারে আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড বাংলা সফ্টওয়ার না থাকলে নিম্নে দেয়া লিঙ্কে (Link) ক্লিক করে ফ্রিতে ডাওনলোড করে নিতে পারেন।
 
Free Download Avro Keyboard  
Name *  
Email *  
Address  
Comments *  
 
 
Posted comments
Till now no approved comments is available.