Hare to Whatsapp
পশ্চিম ত্রিপুরা জেলাভিত্তিক যুব উৎসব যুব সমাজ দেশের ভবিষ্যত : ক্রীড়ামন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, মার্চ ২৪, : যুব সমাজ দেশের ভবিষ্যত। যুবকরা ভালভাবে চললে, দক্ষ হলে দেশ ততই উন্নত হবে ও সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। যুব বিষয়ক ও ক্রীড়ামন্ত্রী টিঙ্কু রায়
২৩ মার্চ আড়ালিয়াস্থিত ড. বিআর আম্বেদকর বিদ্যামন্দিরের প্রিয়লাল সাহা স্মৃতি ভবনে পশ্চিম জেলাভিত্তিক যুব উৎসবের উদ্বোধন করে একথা বলেন। এবছর যুব উৎসবের মূল থিম হলো- ‘ন্যাশনাল ইউনিটি ও সলিডারিটি’। যুব উৎসবের উদ্বোধন করে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়ামন্ত্রী টিঙ্কু রায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৭ সালে বলেছিলেন স্বাধীনতার ৭৫ বছরে দেশ হবে ভ্রষ্টাচারমুক্ত ও আতঙ্কবাদমুক্ত। দেশ থেকে দুর্নীতি, অপশাসন, বিভেদ ও অসাম্য দূর হবে। বর্তমানে দেশে এর সাফল্য ফলতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, রাজ্য সরকার যুবকদের নিয়ে উন্নত ত্রিপুরা ও শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়ে তুলতে চায়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতথি আগরতলা পুরনিগমের মেয়র দীপক মজুমদার বলেন, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে যুবকরাই ছিল মূল চালিকাশক্তি। এছাড়া বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রকের স্টেট অধিকর্তা (সংগঠন) জবা চক্রবর্তী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন নেহেরু যুব কেন্দ্রের অ্যাকাউনটেন্ট অমিরণ রাউত। উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন সুসঙ্গম মিউজিক্যাল সোসাইটির শিল্পীগণ। উপস্থিত ছিলেন বিধানসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ রেবতী মোহন দাস, অর্জুন পুরস্কারপ্রাপ্ত জিমন্যাস্ট মন্টু দেবনাথ, আগরতলা পুরনিগমের কর্পোরেটর সুভাষ ভৌমিক, সমাজসেবী চিত্তরঞ্জন দেব, জেলা শিক্ষা আধিকারিক রূপন রায় প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বরচিত কবিতায় ১ম, হয় ও ৩য় স্থানাধিকারীকে যথাক্রমে ১ হাজার টাকা, ৭৫০ টাকা ও ৫০০ টাকা দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। এছাড়া অঙ্কন প্রতিযোগিতায় ১ম, ২য় ও ৩য় স্থানাধিকারীকে যথাক্রমে ১ হাজার টাকা, ৭৫০ টাকা ও ৫০০ টাকা দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। মোবাইল ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতায় ১ম, ২য় ও ৩য় স্থানাধিকারীকে যথাক্রমে ১ হাজার টাকা, ৭৫০ টাকা ও ৫০০ টাকা দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। আকস্মিক বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় ১ম, ২য় ও ৩য় স্থানাধিকারীকে যথাক্রমে ৫০০০ টাকা, ২০০০ টাকা ও ১০০০ টাকা দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। দলগত লোকনৃত্য প্রতিযোগিতায় ১ম, ২য় ও ৩য় স্থানাধিকারীকে যথাক্রমে ৫০০০ টাকা, ২৫০০ টাকা ও ১২৫০ টাকা দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। এছাড়া তাদেরকে দেওয়া হয় শংসাপত্র। মন্ত্রী সহ অতিথিগণ বিজয়ীদের হাতে এই পুরস্কারগুলি তুলে দেন। জেলাভিত্তিক এই যুব উৎসবে বিভিন্ন সরকারি দপ্তর থেকে ৮টি প্রদর্শনীস্টল খোলা হয়। সভাপতিত্ব করেন আগরতলা পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র মণিকা দাস দত্ত।