Hare to Whatsapp
১৩ থেকে ১৫ এপ্রিল আগরতলায় ৪৯ তম রাজ্যভিত্তিক বিজু মেলা ও উৎসব
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, মার্চ ২২, : আগামী ১৩, ১৪ ও ১৫ এপ্রিল আগরতলার স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে ৪৯তম রাজ্যভিত্তিক বিজু মেলা ও উৎসব-২০২৩। ২১ মার্চ পশ্চিম ত্রিপুরা জেলাশাসক কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমার সভাপতিত্বে এই মেলা ও উৎসবকে সফলভাবে অনুষ্ঠিত করার লক্ষ্যে এক প্রস্তুতি সভা আয়োজিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের ডেপুটি মেয়র মনিকা দাস দত্ত, বিজু মেলা উন্নয়ন সোসাইটির চেয়ারম্যান বিধায়ক শম্ভুলাল চাকমা, টিটিএএডিসি'র এমডিসি বিমল চাকমা, ফায়ার সার্ভিস ও খাদ্য দপ্তরের সচিব তুষার কান্তি চাকমা, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার ভারপ্রাপ্ত জেলাশাসক তড়িৎ কান্তি চাকমা ও ত্রিপুরা রাজ্য চাকমা সামাজিক পরিষদের রাজ্য কারবারি দেবাজন চাকমা এবং বিভিন্ন দপ্তরের বিশিষ্ট আধিকারিকগণ
শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা সভায় বলেন, আমাদের রাজ্যের বিশেষ বৈশিষ্ট ও ঐতিহ্য হচ্ছে রাজ্যের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতির ও জনজাতির কৃষ্টি, সংস্কৃতির মেলবন্ধন ও বিকাশ ঘটানো। বিজু উৎসব রাজ্যের তেমনি একটি ঐতিহ্যপূর্ণ উৎসব। এই উৎসব সবার কাছে আকষর্ণীয় ও সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য তিনি আধিকারিকদের সক্রিয় সাহায্য ও সহযোগিতার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়তে গেলে রাজ্যের জাতি-জনজাতির প্রতিটি কৃষ্টি সংস্কৃতির বিকাশকে ত্বরান্বিত করতে হবে। সভায় আলোচনাক্রমে তিনদিনব্যাপী বিজু মেলা ও উৎসবকে সফল করে তোলার লক্ষ্যে খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীকে চেয়ারম্যান, যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রী টিংকু রায় ও প্রাণী সম্পদ বিকাশ মন্ত্রী সুধাংশু দাসকে ভাইস চেয়ারম্যান এবং আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদারকে কনভেনার ও ডেপুটি মেয়র মনিকা দাস দত্তকে জয়েন্ট কনভেনার করে উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমাকে চেয়ারম্যান, জনজাতি কল্যাণমন্ত্রী বিকাশ দেববর্মাকে ভাইস চেয়ারম্যান করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়। তিনদিনব্যাপী আয়োজিত বিজু মেলায় চাকমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যমন্ডিত প্রদর্শনী স্টল সহ অন্যান্য জাতি ও জনজাতির সাংস্কৃতিক প্রদর্শনীর জন্য ৩০টি স্টল খোলা হবে। মেলা প্রাঙ্গণে ২টি জুম ঘর সহ তিনটি সাংস্কৃতিক মঞ্চও থাকবে। মঞ্চে প্রতিদিনই চাকমা সম্প্রদায় সহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যপূর্ণ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কবি সম্মেলন, সাহিত্য-উৎসব ও আলোচনাচক্র আয়োজিত হবে।