Hare to Whatsapp
সমাজ গড়ার ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষদের সমান অধিকার রয়েছে : সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা মন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, মার্চ ১৫, : আমাদের দেশে এমন বহু বড় বড় জায়গায় মহিলারা রয়েছেন যারা দেশ পরিচালনা করছেন। তারা দেশের নাম উজ্জ্বল করছেন। তবে মহিলাদের আর্থসামাজিক মান উন্নয়নে এবং অধিকার আদায়ে আরও লড়াই করতে হবে। সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা মন্ত্রী টিঙ্কু রায় ১৪ মার্চ আগরতলার মুক্তধারা অডিটরিয়ামে আয়োজিত রাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক নারী দিবস অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে একথা বলেন। এবছর আন্তর্জাতিক নারী দিবসের মূল ভাবনা হলো ডিজিট্যাল : লিঙ্গ সমতার লক্ষ্যে উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি।
অনুষ্ঠানে সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা মন্ত্রী টিঙ্কু রায় বলেন, সমাজ গড়ার ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষদের সমান অধিকার রয়েছে। মহিলারা আজ শুধু স্বাবলম্বীই হচ্ছেন না, মহিলারা সমাজকেও দিশা দেখাচ্ছেন। আজ সিবিএসই বা ইউপিএসসি-তে ছাত্রীরা ভাল ফলাফল করছে। দেশে মহিলারা আজ দিন দিন এগিয়ে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং রাজ্য সরকার যতগুলি প্রকল্প গ্রহণ করেছে তাতে মহিলাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। আগে আমাদের রাজ্যে শুধুমাত্র নবম শ্রেণীর এসসি এবং এসটি ছাত্রীদের বাইসাইকেল দেওয়া হতো। এই সরকার আসার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় নবম শ্রেণীর সমস্ত ছাত্রীদের বাইসাইকেল দেওয়া হবে। গত ৫ বছরে ৯৯ হাজার ছাত্রীকে বাইসাইকেল দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, গার্হস্থ্য হিংসা প্রতিরোধে সমাজকে আরও সচেতন হতে হবে। একাজে শুধু সরকার নয়, বিভিন্ন ক্লাব, সামাজিক সংস্থা ও এনজিওকে এগিয়ে আসতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ত্রিপুরা মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বর্ণালী গোস্বামী বলেন, মায়েরা হচ্ছে মাতৃশক্তি। তবে ডিজিট্যাল ও টেকনোলজিতে মহিলাদের এগিয়ে আসতে হবে। এছাড়া বক্তব্য রাখেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনের সদস্যা শর্মিলা চৌধুরী, এম বি বি কলেজের ছাত্র অঙ্কুর সাহা এবং ছাত্রী বিধিধা ভট্টাচার্য। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের সচিব তাপস রায়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার।
অনুষ্ঠানে ২০২১ সালে নয়াদিল্লিস্থিত মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় বাল পুরস্কার হিসেবে প্রাপ্ত স্বর্ণ পদক ও স্মারক অর্জনকারী দাবারু অর্শিয়া দাস ও ২০২২ সালে এই মন্ত্রণালয় থেকে ফিল্ড অব ইনোভেশনে এ স্বর্ণপদক ও স্মারক প্রাপ্ত পূহবী চক্রবর্তীর হাতে এই পুরস্কারগুলি তুলে দেন সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা মন্ত্রী টিঙ্কু রায়। এছাড়া মন্ত্রী শ্রীরায় স্বউদ্যোগী স্বপ্না দেবনাথ, দুধুলক্ষ্মী দেববর্মা, সবিতা ত্রিপুরা, এমবিবি কলেজের ছাত্র অঙ্কুর সাহা ও ছাত্রী বিবিধা ভট্টাচার্যের হাতে মেমেন্টো ও শংসাপত্র তুলে দেন। এই দু'জন ছাত্রছাত্রী আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বক্তৃতা দিয়েছিলেন। অনুষ্ঠানে মেঘবালিকা বাংলা ব্যান্ডের শিল্পীগণ সংগীত পরিবেশন করেন। ধন্যবাদজ্ঞাপন করেন সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের অতিরিক্ত অধিকর্তা এল রাঞ্ছল।