Hare to Whatsapp
ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক সন্ত্রাসের খোঁজ নিতে ত্রিপুরা সফরে আসছেন কংগ্রেস ও সিপিএম-এর সংসদীয় দল, যৌথ ভাবে সফর করবেন আক্রান্ত এলাকা
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, মার্চ ১০, : ত্রিপুরায় চলমান ভোট-পরবর্তী সহিংসতার বিস্তারিত বিবরণ জানতে আগামীকাল থেকে কংগ্রেস ও সিপিআই-এম-এর তিনটি টিম দুদিন ধরে লাগাতর রাজনৈতিক সন্ত্রাসের শিকার লোকজনের সাথে মিলিত হবেন। কংগ্রেস ও সিপিএম-এর আট সদস্যের সংসদের দলটি শুক্রবার রাজ্যে আসছেন। তারা রাজ্যে রাজনৈতিক সন্ত্রাসের ঘটনা গুলির তদন্ত করবেন এবং পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে কথা বলবেন।
কংগ্রেস ও সিপিআই-এম-এর নেতারা বলেছেন যে লোকসভার পাঁচজন সাংসদ এবং রাজ্যসভার তিনজন সাংসদকে নিয়ে তিনটি দলে বিভক্ত হয়ে সংসদীয় দলটি সহিংসতা-কবলিত গ্রাম এবং তিনটি জেলার গ্রাম ও শহর এলাকার সন্ত্রাস কবলিত এলাকা গুলি পরিদর্শন করবেন। পশ্চিম ত্রিপুরা, সিপাহিজলা এবং গোমতী জেলায় তারা আগে যাবেন।
কংগ্রেস ও সিপিআই-এম-এর স্থানীয় বিধায়ক ও নেতারাও তাদের সাথে থাকবেন। রাজনৈতিক সহিংসতার কারনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা গুলি পরিদর্শন শেষে তারা ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী, মূখ্য সচিব ও পুলিশের মহানির্দেশক এর সাথেও কথা বলতে পারেন।
কংগ্রেস ও সিপিএম-এর সংসদীয় দলের সদস্যরা হলেন, পিআর নটরাজন, গৌরব গগৈ, রঞ্জিতা রঞ্জন, এএ রহিম, আবদুল খালিক (লোকসভা) এবং বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য, বিনয় বিশ্বম, এবং এলারাম করিম (রাজ্যসভা)।
ত্রিপুরা কংগ্রেস এর সভাপতি বীরজিৎ সিনহা, সিপিআই-এম এর রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরীরও তাদের সাথে থাকবেন। জীতেন্দ্র চৌধুরী এনিয়ে বলেছেন যে ২ মার্চ থেকে এক হাজারের বেশী রাজনৈতিক হামলার ঘটনা ঘটেছে। একই কারনে পাচ হাজারেরও বেশি পুরুষ, মহিলা ও শিশু সহ তাদের বাড়ি ছেড়েছেন। বহু লোক পালিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এবং রাজ্যের বাইরে আশ্রয় নিয়েছে।
চৌধুরী বলেন, "পুলিশ নীরব দর্শক হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন এবং এফআইআর পর্যন্ত নথিভুক্ত করতে অস্বীকার করছেন। গুরুত্বপূর্ণ জায়গাতে হামলার ঘটনার পরও কিছু লোককে কিছুক্ষণের জন্য আটক করা হয়। কিন্তু পরে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন যে ১৬ ফেব্রুয়ারি বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হল। ২ মার্চ ফলাফল ঘোষণার পর ধারাবাহিক সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। কমপক্ষে তিনজন নিহত এবং ২০০ জনেরও বেশি লোক আহত হয়েছেন।
জীতেন্দ্র চৌধুরীর অভিযোগ সহিংসতার সময় রাবার বাগান, দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, যানবাহন এবং বাড়িঘর সহ অনেক সম্পত্তি ধ্বংস এবং পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। তার আরও অভিযোগ বিজেপি’র দুষ্কৃতিকারীদের তরফে জোর করে বিজয় মিছিলের জন্য টাকা চাওয়া হচ্ছে। চাহিদা মত টাকা না দিলেই হামলার শিকার হন সাধারণ মানুষ।