Hare to Whatsapp
১৪ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৪টা থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি সকাল ৬টা পর্যন্ত পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় ১৪৪ ধারায় বিভিন্ন বিধিনিষেধ
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, ফেব্রুয়ারি ১৪, : আসন্ন ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জনসভা, মিছিল ইত্যাদির মাধ্যমে যে সরব নির্বাচনী প্রচার চলছে তা আগামীকাল বিকাল ৪টায় শেষ হবে। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক স্বার্থে নগদ টাকা, উপহার, মাদকদ্রব্য ইত্যাদি বিলি করে যাতে নির্বাচকদের প্রভাবিত করা না যায় সেজন্য নির্বাচনী এলাকায় কড়া নজরদারির প্রয়োজন রয়েছে। তাছাড়া পশ্চিম জেলার বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রের এলাকায় সমাজবিরোধী ও অপরাধমূলক কার্যকলাপের মাধ্যমে শান্তি যাতে ভঙ্গ না হয় সেজন্য পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক দেবপ্রিয় বর্ধন সমগ্র পশ্চিম জেলায় সিপিসি কোড ১৯৭৩-এর ১৪৪ ধারা অনুসারে লাঠি, আয়রন রড, বাঁশ, পাথর ও অন্যান্য অস্ত্রসম বস্তু ইত্যাদি সহ বা ছাড়া পাঁচ বা ততোধিক লোকের জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। পশ্চিম জেলায় কাল বিকাল ৪টার পর থেকে জনসভা, মিটিং, মিছিল (লাউড স্পিকার ব্যবহার করে বা না করে) নিষিদ্ধ বলে আদেশ জারি করা হয়েছে। তাছাড়া দুই বা ততোধিক মোটর বাইক বা মোটর গাড়ির একসঙ্গে চলাচলও নিষিদ্ধ থাকবে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী শান্তিপূর্ণ বাড়ি বাড়ি প্রচার চালানো যাবে তবে ক) এ জাতীয় প্রচারে প্রার্থী সহ পাঁচ জনের বেশি লোক থাকতে পারবে না খ) প্রার্থী ও তার সাথীরা কোনও নির্বাচককে নগদ টাকা বা অন্যভাবে প্রলোভন, ভয় দেখাতে পারবে না, গ) এ জাতীয় প্রচারাভিযান সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৭টার মধ্যে করতে হবে ঘ) কোনও রাজনৈতিক দলের পতাকা / ব্যানার, চিহ্ন ইত্যাদি বহন করা যাবে না এবং ঙ) যারা এজাতীয় প্রচারে অংশ নেবেন তাদের সংশ্লিষ্ট নির্বাচন ক্ষেত্রের নির্বাচক হতে হবে।
জেলাশাসক বলেছেন, এই নিষেধাজ্ঞা শান্তিপ্রিয় ও কর্তব্যপরায়ণ নাগরিকদের দৈনন্দিন জীবনকে ব্যাহত করার জন্য নয় বরং শান্তিপূর্ণ ও স্বাধীন নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য। এই নিষেধাজ্ঞা ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৪টা থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি সকাল ৬টা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এই আদেশ লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে আইপিসির ১৮৮ ধারা অনুসারে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবেন। ১) নির্বাচনী কাজে নিযুক্ত কর্মী, সিএপিএফ, পুলিশ, তাদের দ্বারা ব্যবহৃত যানবাহন এবং উপযুক্ত পাশ সহ মিডিয়া পার্সন, ড্রাইভার, সাফাই কর্মীগণ। ২) পায়ে হেটে বা গাড়ি দিয়ে ভোট দিতে যাওয়া নির্বাচকগণ ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটকেন্দ্রে লাইনে দাঁড়ানো নির্বাচকগণ ৩) ভোটকেন্দ্রের ২০০ মিটারের বাইরে একমাত্র ভোটার আইডি বহনকারী একই পরিবারের একই গাড়ি করে ভোট দিতে আসা ভোটার ৪) সরকারি কর্মচারী, পুলিশ / সিএপিএফ / সশস্ত্র বাহিনীর সরকারি দায়িত্বে থাকা লোকেরা ৫) শিক্ষাগত কাজে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দিনের বেলা একত্রিত লোকজন ৬) সরকারি বা বেসরকারি কর্মচারীদের দৈনন্দিন দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি ৭) সাধারণ যানবাহনের যাত্রীগণ ৮) বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বা বিবাহ / সামাজিক অনুষ্ঠানে একত্রিত লোকজন যদি না সেখানে কোনও ধরনের নগদ টাকা বা অন্যান্য বস্তু বিলি না করা হয় ৯) রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছাড়া একত্রিত বাজারের / মন্দিরের জমায়েত ১০) সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার কিংবা নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ দ্বারা অনুমোদিত প্রার্থীর বাড়ি। আজ পশ্চিম জেলাশাসকের কার্যালয় থেকে এই আদেশ জারি করা হয়েছে।