রাজ্যে একটি হোমিওপ্যাথি কলেজ স্থাপন করার পরিকল্পনা রয়েছে : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
 আগরতলা, এপ্রিল ১১, : হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার সুফলগুলির প্রচার ও প্রসার প্রয়োজন। এক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ১০ এপ্রিল আগরতলার প্রজ্ঞাভবনে বিশ্ব হোমিওপ্যাথি দিবসের রাজ্যস্তরীয় অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। এবছর বিশ্ব হোমিওপ্যাথি দিবসের ভাবনা হচ্ছে ‘অধ্যয়ন-শিক্ষাদান-গবেষণা'। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার জনক চিকিৎসক স্যামুয়েল হ্যানিমেনের জন্মদিন উপলক্ষ্যে এদিবসটি উদযাপন করা হয়।
আগরতলা, এপ্রিল ১১, : হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার সুফলগুলির প্রচার ও প্রসার প্রয়োজন। এক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ১০ এপ্রিল আগরতলার প্রজ্ঞাভবনে বিশ্ব হোমিওপ্যাথি দিবসের রাজ্যস্তরীয় অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। এবছর বিশ্ব হোমিওপ্যাথি দিবসের ভাবনা হচ্ছে ‘অধ্যয়ন-শিক্ষাদান-গবেষণা'। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার জনক চিকিৎসক স্যামুয়েল হ্যানিমেনের জন্মদিন উপলক্ষ্যে এদিবসটি উদযাপন করা হয়।
রাজ্য আয়ুষ মিশন আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, জার্মান চিকিৎসক স্যামুয়েল হ্যানিমেনের হাত ধরেই বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা শুরু হয়। দীর্ঘদিন ধরেই এই চিকিৎসায় অনেক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। বৈজ্ঞানিক ভিত্তি বিশদভাবে জানতে প্রতিবন্ধকতাগুলির গভীর অধ্যয়ন, শিক্ষাদান ও গবেষণা প্রয়োজন। এক সময় পশ্চিমবঙ্গ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার কেন্দ্রবিন্দু ছিল। সেখানে খ্যাতনামা হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকগণ সুনামের সাথে কাজ করতেন। সেখান থেকেই ধীরে ধীরে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার বিস্তার ঘটে। রাজ্যেও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পরিষেবার উন্নয়ন ও প্রসারে মুখ্যমন্ত্রী গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, দীর্ঘ মেয়াদী চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথির কার্যকারিতা রয়েছে। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই। তাই এই চিকিৎসা পদ্ধতিটি আরও বেশি করে প্রচারের আলোয় নিয়ে আসা প্রয়োজন। এছাড়া তিনি মানসিক স্বাস্থ্যের উপর হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকদের কাজ করার জন্য পরামর্শ দেন। সেক্ষেত্রে উন্নত পরিষেবা প্রদানে গবেষণা ভিত্তিক চিকিৎসার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন মুখ্যমন্ত্রী। পুরনো চিকিৎসা পদ্ধতির সুফলগুলিকেও চিকিৎসা ক্ষেত্রে প্রয়োগ করার উপর তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দিক নির্দেশনায় আয়ুর্বেদ, যোগা, ইউনানী, সিদ্ধা এবং হোমিওপ্যাথি (আয়ুষ) চিকিৎসার প্রসারে আয়ুষ মন্ত্রনালয় গঠন করা হয়েছে। রাজ্যে বর্তমান সরকারও আয়ুষ পরিষেবা প্রদানে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করছে। সম্প্রতি ৭টি আয়ুষ আরোগ্য মন্দির ন্যাশনাল অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড ফর হসপিটাল (এনএবিএইচ)-এর স্বীকৃতি লাভ করেছে।
 আরও পড়ুন...