Hare to Whatsapp
ত্রিপুরা বিধানসভার আসন্ন নির্বাচনে ২৫৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতায় রয়েছেন : মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক কিরণ গিত্যে
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, ফেব্রুয়ারি ৩, : ত্রিপুরা বিধানসভার আসন্ন নির্বাচনে ২৫৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতায় রয়েছেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার পর্ব শেষ হয়ে যাওয়ার পর এই চিত্র বেরিয়ে এসেছে। ২ ফেব্রুয়ারি ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। সব মিলিয়ে ৩২ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। আজ সন্ধ্যায় পশ্চিম জেলার জেলাশাসকের কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক সংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক কিরণ গিত্যে এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত ৩১০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। পরীক্ষা নিরীক্ষার সময় ১৯ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়। প্রতিদ্বন্দিতায় রয়ে যান ২৯১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ৩২ জন মনোনয়নপত্ৰ প্রত্যাহার করে নেওয়ায় চূড়ান্ত প্রতিদ্বন্দিতায় রয়েছেন ২৫৯ জন প্রার্থী। মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক জানান, ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতায় ছিলেন ২৯৭ জন প্রার্থী। এবারের নির্বাচনে যে ২৫৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতায় রয়েছেন তাদের মধ্যে ভারতীয় জনতা পার্টির ৫৫, অল ইন্ডিয়া তৃণমুল কংগ্রেসের ২৮, সিপিআই(এম) এর ৪৩, সিপিআই এর ১, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের ১৩, ইনডেজিনিয়াস পিপলস ফ্রন্ট অব ত্রিপুরার ৬, তিপ্রামথা পার্টির ৪২, সিপিআই(এমএল)এল- ১, এআইএফবি'র ১, টিপিপি'র ২, টিএসপি'র ১, আরএসপি'র ১, অন্যান্য স্বীকৃতিহীন দলের ৭ জন প্রার্থী রয়েছেন। এছাড়া নির্দল প্রার্থী হচ্ছেন ৫৮ জন। ১০টি বিধানসভা কেন্দ্রে সবচেয়ে বেশী প্রার্থী রয়েছেন ৬ জন করে। এগুলি হচ্ছে ৩-বামুটিয়া, ৬-আগরতলা, ৮-টাউন বড়দোয়ালি, ২৩-ধনপুর, ৪২-অমরপুর, ৪৬-সুরমা (এসসি), ৪৭-আমবাসা (এসটি), ৪৯-ছামনু (এসটি), ৫৬-ধর্মনগর এবং ৬০- কাঞ্চনপুর (এসটি)। সরাসরি প্রতিদ্বন্দিতা হচ্ছে ৩টি বিধানসভা কেন্দ্রে। এগুলি হচ্ছে ৪-বড়জলা (এসসি), ৪০-সাব্রুম, ৫৭-যুবরাজনগর। মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক জানান, আজ থেকে ব্যালট পেপার ছাপার কাজ শুরু হচ্ছে। ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে পোস্টাল ব্যলটে ভোট নেওয়ার কাজ শুরু হবে। ৮০ ঊর্ধ্ব এবং দিব্যাঙ্গজন যারা বাড়িতে বসেই ভোট দেবার জন্য আবেদন করেছেন তাদেরও ভোট নেওয়ার প্রক্রিয়া ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে। তিনি জানান, ভোটারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এবার সারা রাজ্যে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা ৯টি বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে রাজ্যে ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ৩৩২৮টি এখন এই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৩৩৩৭টি।