Hare to Whatsapp
গণতন্ত্রকে সুদৃঢ় করতে সাংবাদিকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে : তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, জানুয়ারি ১৮, : রাজ্যে কর্মরত সরকারি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সাংবাদিকদের জন্য বর্তমান সরকার স্বাস্থ্য বীমা চালু করেছে। স্বাস্থ্য বীমায় বছরে তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা পরিষেবার সুযোগ থাকবে। বেশী সংখ্যক সাংবাদিকদের এই স্বাস্থ্য বীমার আওতায় আনার লক্ষ্যেই রাজ্য সরকার সাংবাদিকদের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে। ১৭ জানুয়ারি সচিবালয়ের প্রেস কনফারেন্স হলে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রাজ্যের সংবাদমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের মধ্যে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বিতরণ করে একথা বলেন তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। অনুষ্ঠানে প্রিন্ট মিডিয়ার ১১ জন এবং বৈদ্যুতিন প্রচার মাধ্যমের ১৩ জন সাংবাদিকের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড তুলে দেওয়া হয়৷
অনুষ্ঠানে তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের সাংবাদিকদের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড পাওয়ার দীর্ঘদিনের দাবি পূরণে রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর আন্তরিক। পুরানো ও নতুন সহ মোট ৩৩৭ জন অ্যাক্রিডিটেটেড সাংবাদিকদেরকে স্বাস্থ্য বীমার আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরফলে ভারতবর্ষের বিভিন্ন নামিদামী হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসা পরিষেবার সুযোগ নিতে পারবেন সাংবাদিকরা। তিনি জানান, ১৮৯ জন নতুন সাংবাদিককে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড প্রদান করা হয়েছে। তাছাড়া ১৪১ জন সাংবাদিকের রিনুয়েল অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড এবং ২৫ জন প্রবীণ সাংবাদিককে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, বর্তমানে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডের তালিকায় যাদের নাম বাদ গেছে আগামীদিনেও তাদের পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, এই অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড প্রদানের প্রক্রিয়া চালু থাকবে। যেসকল সাংবাদিকরা এই অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড পেয়েছেন সেই কার্ডের যথাযথ মর্যাদা রক্ষা করার পাশাপাশি সঠিক ব্যবহারের উপরও তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী গুরুত্ব আরোপ করেন। গণতন্ত্রকে সুদৃঢ় করতে সাংবাদিকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে সাংবাদিকরা তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে রাজ্যকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে সদর্থক ভূমিকা নেবেন বলে তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী শ্রীচৌধুরী আশাব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য বীমা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী জানান, ২১ থেকে ৩৫ বছর পর্যন্ত বয়সী সাংবাদিকদের বছরে স্বাস্থ্য বীমার প্রিমিয়ামের পরিমাণ জিএসটি ছাড়া ৫ হাজার ৫৯৫ টাকা। এরমধ্যে রাজ্য সরকার বহন করবে ৪ হাজার ৪৭৬ টাকা এবং সাংবাদিকদের প্রদান করতে হবে ১ হাজার ১১৯ টাকা
৩৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী সাংবাদিকদের বছরে বীমার প্রিমিয়ামের পরিমাণ জিএসটি ছাড়া ৭ হাজার ৯৪৭ টাকা। তাতে রাজ্য সরকারের ৬ হাজার ৩৫৮ টাকা এবং সাংবাদিকদের প্রদেয় অর্থ ১ হাজার ৫৮৯ টাকা। ৪৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সী সাংবাদিকদের বছরে বীমার প্রিমিয়াম জিএসটি ছাড়া ১৩ হাজার ৬৭২ টাকা। রাজ্য সরকার বহন করবে ১০ হাজার ৯৩৮ টাকা এবং সাংবাদিকদের প্রদান করতে হবে ২ হাজার ৭৩৪ টাকা। ৫৫ থেকে ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে বীমার প্রিমিয়ামের পরিমান জিএসটি ছাড়া ১৭ হাজার ৯০৭ টাকা। এরমধ্যে ১৪ হাজার ৩২৬ টাকা রাজ্য সরকারের এবং বাকী ৩ হাজার ৫৮১ টাকা বীমাকারীদের প্রদান করতে হবে। এই স্বাস্থ্য বীমা প্রতি বছর নবীকরণের জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী।
সাংবাদিক সম্মেলনে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব ড. পি কে চক্রবর্তী বলেন, সাংবাদিকদের স্বাস্থ্য বীমা প্রকল্প রাজ্য সরকারের একটি বড় পদক্ষেপ। এই প্রকল্পে সাংবাদিকগণ চিকিৎসা পরিষেবার সুযোগ পাবেন। ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী বীমার দায়িত্বে রয়েছে। তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা রতন বিশ্বাস বলেন, স্বাস্থ্য বীমা সম্পূর্ণ ক্যাসলেস একটি ব্যবস্থা। যারা এখনো অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড নবীকরণ করানোর জন্য আবেদন করেননি তারা যেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।