Hare to Whatsapp
ক্লাবগুলি ইচ্ছে করলেই নিজ নিজ এলাকার সুস্থ পরিবেশ বজায় রাখতে পারে : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, জানুয়ারি ১৪, : ক্লাবগুলি ইচ্ছে করলেই নিজ নিজ এলাকার সুস্থ পরিবেশ বজায় রাখতে পারে। এক্ষেত্রে রাজ্য সরকার ক্লাবগুলির পাশে রয়েছে। নেশামুক্ত ত্রিপুরা গঠনে ক্লাবগুলিকে আরও ব্যাপক উদ্যোগী হতে হবে। ১৩ জানুয়ারি আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের ২ নং প্রেক্ষাগৃহে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত খেলো ত্রিপুরা সুস্থ ত্রিপুরা কর্মসূচিতে বিভিন্ন ক্লাবগুলির মধ্যে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা। তিনি বলেন, সুস্থ ত্রিপুরা এবং এক ত্রিপুরা গড়ার চিন্তাভাবনাকে সামনে রেখে বর্তমান রাজ্য সরকার নিরন্তর কাজ করে চলেছে। নেশা যেই কোনও পরিবার তথা সমাজকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে ক্লাবগুলির তার নির্দিষ্ট এলাকায় যথেষ্ট গুরুত্ব থাকায় নিজ নিজ এলাকাকে নেশার কবল থেকে মুক্ত রাখতে রুখে দাঁড়াতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নেশামুক্ত ত্রিপুরা গঠনের পাশাপাশি রাজ্যের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও পরম্পরাকে প্রতিনিয়ত তুলে ধরার ক্ষেত্রেও ক্লাবগুলিকে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের সচিব ড. পি কে চক্রবর্তী বলেন, খেলো ত্রিপুরা সুস্থ ত্রিপুরা কর্মসূচিতে আজ আগরতলা পুরনিগম এলাকার ৪৭টি ক্লাবকে বিভিন্ন ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। খেলাধুলার প্রতি যুবক যুবতীদের আকৃষ্ট ও অনুপ্রাণিত করার উদ্দেশ্য নিয়ে সারা রাজ্যের প্রায় ১,৫০০টি ক্লাবকে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। এতে প্রায় ২ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা খরচ হবে। তিনি বলেন, খেলাধুলার পরিকাঠামো উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তর। রাজ্যে ৬২টি ওপেন জিম স্থাপন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ১২টির কাজ শেষ হয়েছে এবং ১০টির কাজ প্রায় শেষের পথে। তাছাড়া স্পোর্টস স্টেডিয়ামের পরিকাঠামো উন্নয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে এছাড়াও আগরতলা পুরনিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান সন্তোষ সাহা, যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের অধিকর্তা সুবিকাশ দেববর্মা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্লাবগুলির প্রতিনিধিদের হাতে ক্রীড়া সামগ্রী তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী সহ অতিথিগণ।