Hare to Whatsapp
বিচার ব্যবস্থায় দক্ষ প্রশাসনিকতা নির্ভর করে গুণগত জুডিশিয়াল এডুকেশনের উপর : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, জানুয়ারি ১৪, : ত্রিপুরার মানুষ কখনও ভাবতেও পারেনি রাজ্যে জুডিশিয়াল একাডেমি হবে বা আইন বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দৃষ্টিভঙ্গিকে সঙ্গে নিয়ে রাজ্যের বর্তমান সরকার সব উন্নয়নমূলক কর্মসূচির পাশাপাশি আইন ব্যবস্থার উন্নতিতেও গুরুত্ব দিয়েছে। ১৩ জানুয়ারি নরসিংগড়স্থিত ত্রিপুরা জুডিশিয়াল একাডেমির নবনির্মিত হোস্টেলের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। তিনি বলেন, বিচার ব্যবস্থা হচ্ছে গণতন্ত্র রক্ষার একটি অন্যতম স্তম্ভ। বিচার ব্যবস্থায় দক্ষ প্রশাসনিকতা নির্ভর করে গুণগত জুডিশিয়াল এডুকেশনের উপর। সেইক্ষেত্রে এই জুডিশিয়াল একাডেমি ছাত্রছাত্রীদের ক্ষেত্রে বিশেষ কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ করবে।
তিনি আরও বলেন, রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে প্রতিভার অভাব নেই। এই রাজ্যের আইনজীবীরা ভারতের অন্যান্য রাজ্যের আইনজীবীদের থেকে কোনও অংশে কম নয়৷ একটা সময় ছিল যখন আইনগত বিভিন্ন সমস্যার জন্য ত্রিপুরার জনগণ বাইরের আইনজীবীদের উপর নির্ভরশীল থাকতো। কিন্তু বর্তমানে সেই প্রবণতার অবসান হয়েছে। রাজ্যেও অনেক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন দক্ষ আইনজীবী রয়েছেন। তিনি আশাব্যক্ত করেন এই জুডিশিয়াল একাডেমি ছাত্রছাত্রীদের অনেক উপকারে আসবে। ছাত্রছাত্রীরা এখান থেকে সমৃদ্ধ হয়ে জনগণের স্বার্থে কাজ করার সুযোগ পাবে। কারণ আইনজীবীদের জনগণকে আইনগত পরিষেবা প্রদানের মাধ্যমে সাহায্য করার বিশাল সুযোগ রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মানুষ চায় বিচার ব্যবস্থাও সহজ সরল হোক। বর্তমান রাজ্য সরকারও বিচার ব্যবস্থার সরলীকরণে উদ্যোগী রয়েছে। তিনি আশা ব্যক্ত করেন এই জুডিশিয়াল একাডেমির মাধ্যমে রাজ্যের ছাত্রছাত্রীরা গুণগত আইন শিক্ষার সুযোগ পাবে এবং রাজ্যের আইন ব্যবস্থার উপরও এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
অনুষ্ঠানে রাজ্যের আইনমন্ত্রী রতনলাল নাথ বলেন, বর্তমান রাজ্য সরকার রাজ্যের আইন ব্যবস্থার উন্নতিতে জিরো টলারেন্স পলিসি নিয়ে এগিয়ে চলছে। অনুষ্ঠানে ত্রিপুরা উচ্চ আদালতের কার্যনির্বাহী প্রধান বিচারপতি টি অমরনাথ গৌড় বলেন, এই জুডিশিয়াল একাডেমির মাধ্যমে রাজ্যের আইন বিষয়ে পড়তে আসা ছাত্রছাত্রীরা সমৃদ্ধ হবে। মুখ্যমন্ত্রী সহ উপস্থিত অতিথিগণ ত্রিপুরা আইন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট এবং গবেষণা কেন্দ্রের একটি নিউজ লেটার প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরা উচ্চ আদালতের বিচারপতি অরিন্দম লোধ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব জে কে সিনহা, অ্যাডভোকেট জেনারেল সিদ্ধার্থ শংকর দে প্রমুখ। ধন্যবাদসূচক বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরা আইন প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট এবং গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ পালিত।