Hare to Whatsapp
গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশে স্বসহায়ক দলগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে : তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, জানুয়ারি ১১, : রাজ্যে গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশে স্বসহায়ক দলগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে। স্বসহায়ক দলগুলি যাতে স্বনির্ভর হয়ে উঠতে পারে সেজন্য সরকার তাদেরকে সহায়তা করছে। ১০ জানুয়ারি জিরানীয়ার অগ্নিবীণা হলে স্বসহায়ক দলগুলিকে ঋণ প্রদান অনুষ্ঠানে একথা বলেন তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, রাজ্যের প্রান্তিক জনপদের অন্তিম ব্যক্তি পর্যন্ত যাতে আত্মনির্ভর হতে পারে সেজন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সরকার। রাজ্যের মানুষকে উন্নয়নে অংশীদার করে এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়ার প্রয়াস নেওয়া হয়েছে। উন্নয়ন কর্মসূচি রূপায়ণে ও সরকারি পরিষেবা প্রদানে সরকার রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে কাজ করছে।
জিরানীয়া নগর পঞ্চায়েতের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জিরানীয়া পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান প্রীতম দেবনাথ। উপস্থিত ছিলেন জিরানীয়া নগর পঞ্চায়েতের চেয়ারপার্সন রতন কুমার দাস, ভাইস চেয়ারপার্সন রীতা দাস, জিরানীয়া পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান মঞ্জু দাস প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জিরানীয়া নগর পঞ্চায়েতের উপকার্যনির্বাহী আধিকারিক কুমারদ্বীপ সরকার। অনুষ্ঠানে ৮টি স্বসহায়ক দলকে ২২ লক্ষ টাকা এবং স্বসহায়ক দলের ২২ জন সদস্য সদস্যাকে ৪০ লক্ষ টাকা ঋণের মঞ্জুরিপত্র দেওয়া হয়। অতিথিগণ তাদের হাতে ঋণের মঞ্জুরিপত্র তুলে দেন। তাছাড়াও অনুষ্ঠানে জিরানীয়া নগর পঞ্চায়েত এলাকার ৬টি বিদ্যালয়কে ক্রীড়া সামগ্রী, ২৩ জনকে টুয়েপ কার্ড দেওয়া হয়। তাছাড়া ২২০ জন সুনাগরিককে ৫ হাজার টাকা করে আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হয়। এদিন রাণীরবাজার গীতাঞ্জলি হলেও অনুরূপ এক অনুষ্ঠানে ১৩৬টি স্বসহায়ক দলকে ৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী তাদের হাতে এই সহায়তা তুলে দেন।