Hare to Whatsapp
আত্মনির্ভর ত্রিপুরা গড়ে তুলতে কেন্দ্রীয় সরকার সহযোগিতা করছে
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, জানুয়ারি ১০, : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রতিটি রাজ্যের উন্নয়নে বিভিন্ন জনকল্যাণমুখী প্রকল্প রূপায়িত করছে। কেন্দ্রীয় সরকার চায় প্রতিটি রাজ্যেরই মাথাপিছু গড় আয় যেন বৃদ্ধি হয়। সেই দিশাতেই কেন্দ্রীয় সরকার কাজ করে চলছে। ৯ জানুয়ারি প্রজ্ঞাভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ মন্ত্রী নারায়ণ রানে একথা বলেন। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান, কেন্দ্রীয় সরকার আত্মনির্ভর ভারত গড়ার পাশাপাশি ত্রিপুরাকেও একটি আত্মনির্ভর রাজ্য গড়ার জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন আগামী তিন বছরে ত্রিপুরা রাজ্যের মাথাপিছু গড় আয় ২.৫ লক্ষ থেকে ৩ লক্ষ টাকা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার উত্তরপূর্বাঞ্চলের উন্নতিতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। উত্তর পূর্বাঞ্চলের সার্বিক উন্নতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের ইতিবাচক মনোভাবে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক নীতি গ্রহণ করা হচ্ছে। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে উত্তর পূর্বাঞ্চলের ৮টি রাজ্যের উন্নতিতে ৭৬ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প প্রদান করা হয়েছে। ত্রিপুরা রাজ্যেও বিভিন্ন প্রকল্প দ্রুত গতিতে বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রতিটি প্রকল্পেরই অর্থরাশি সঠিকভাবে স্বচ্ছতার সঙ্গে সম্পূর্ণরূপে ব্যয় করা হচ্ছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরায় পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের বিশাল সুযোগ রয়েছে। কেন্দ্রীয় এবং রাজ্যের সরকারও ত্রিপুরার পর্যটনের উন্নতিতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করে চলেছে। রাজ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ থেকে শুরু করে হোটেল নির্মাণ, পর্যটন স্থানগুলির উন্নিতকরণে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। এই প্রসঙ্গে তিনি ইকো-টুরিজ্যম, ফরেস্ট টুরিজ্যম ইত্যাদির কথা তুলে ধরে বলেন, এই সব কিছুরই সঠিক বাস্তবায়নের প্রতিফলনই হচ্ছে ত্রিপুরার মাথাপিছু গড় আয় বৃদ্ধি। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার দেশকে বিশ্বের অন্যতম আর্থিক সমৃদ্ধশালী দেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে। সাংবাদিক সম্মেলনে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রের ক্ষুদ্র, ছোট এবং মাঝারি উদ্যোগ মন্ত্রকের রাজ্য প্রতিমন্ত্রী ভানুপ্রতাপ সিং ভার্মা, কেভিআইসি'র চেয়ারম্যান মনোজ কুমার এবং শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের বিশেষ সচিব অভিষেক চন্দ্ৰা।