Hare to Whatsapp
রাজ্যের হস্ততাঁত ও হস্তকারু শিল্পীদের সামগ্রী এখন দেশ বিদেশেও প্রসিদ্ধ : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, জানুয়ারি ৮, : হস্ততাঁত ও হস্তকারু শিল্প রাজ্যের একটি ঐতিহ্যবাহী শিল্প। রাজ্যের হস্ততাঁত ও হস্তকারু শিল্পীদের সামগ্রী এখন দেশ বিদেশেও প্রসিদ্ধ। তাই অত্যাধুনিক প্রযুক্তিকে ব্যবহারের মাধ্যমে হস্ততাঁত শিল্পের আরও প্রসার ঘটানো প্রয়োজন। ৭ ডিসেম্বর পূর্বাশা কমপ্লেক্সে ত্রিপুরা হস্ততাঁত ও হস্তকার উন্নয়ন নিগমের নতুন প্রশাসনিক ভবন এবং আরবান হাট কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিগত দিনে রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী হস্ততাঁত শিল্পকে উন্নতি করার প্রচুর সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু বিগত সরকার পূর্বাশাকে একটি পুনর্বাসনের কেন্দ্রে পরিণত করেছিল। পূর্বাশার বিভিন্ন বিক্রয় কেন্দ্রগুলিকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিয়েছিল। সর্বোপরি পূর্বাশার উন্নয়নের কোনও উদ্যোগ সে সময় সঠিকভাবে নেওয়া হয়নি। বর্তমান রাজ্য সরকার রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজ করছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি ক্ষেত্রে কিভাবে উন্নয়ন করতে হয় তা দেশের প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে দেখিয়েছেন। কারণ উন্নয়ন ছাড়া কখনও আর্থসামাজিক ব্যবস্থার অগ্রগতি হয় না। রাজ্যের হস্ততাঁত শিল্পের আরও উন্নয়নের লক্ষ্যে হস্ততাঁত ও বয়ন শিল্পীদের আধুনিকতম প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে তোলারও উদ্যোগ নিতে হবে। পাশাপাশি হস্ততাঁত শিল্পের উৎপাদিত সামগ্রীকে দেশ বিদেশে বাজারজাতকরণ করতে হবে। তবেই আত্মনির্ভর ত্রিপুরা গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে আগরতলা পুরনিগমের মেয়র দীপক মজুমদার বলেন, বর্তমান রাজ্য সরকার হস্ততাঁত শিল্পের প্রসারে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। রাজ্যের সমস্ত সরকার অধিগৃহীত সংস্থাকে লাভজনক সংস্থায় পরিণত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। রাজ্যের হস্ততাঁত ও হস্তকারু শিল্পীদের উৎপাদিত পণ্য আজ দেশ বিদেশে সুপরিচিতি লাভ করেছে। তাতে রাজ্যের সুনাম বৃদ্ধির পাশাপাশি শিল্পীরাও আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।
অনুষ্ঠানে বিধায়ক ডা. দিলীপ দাস বলেন, বর্তমান রাজ্য সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর পূর্বাশা কমপ্লেক্সের উন্নয়নের উপর জোর দিয়ে কাজ করছে। রাজ্য সরকারের লক্ষ্য পূর্বাশাকে রাজ্যের অন্যতম রাজস্ব আয়ের উৎস হিসেবে গড়ে তোলা। পাশাপাশি হস্ততাঁত শিল্প উৎপাদিত পণ্যের বিক্রি বাড়াতে কর্মীদের সুন্দর ব্যবহারের উপরও গুরুত্ব দিতে হবে। অনুষ্ঠানে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরা হস্ততাঁত ও হস্তকার উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান বলাই গোস্বামী, ম্যানেজিং ডিরেক্টর কুন্তল দাস এবং হস্ততাঁত ও হস্তকারু দপ্তরের যুগ্ম অধিকর্তা নিমাই মুড়াসিং।