Share Whatsapp

রাজ্যে কৃষকদের কল্যাণে সরকার বহুমুখী পরিকল্পনা নিয়েছে : তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদন

আগরতলা, জানুয়ারি ৫, : রাজ্যে কৃষকদের কল্যাণে সরকার বহুমুখী পরিকল্পনা নিয়েছে। কৃষকদের রোজগার বাড়ানোর লক্ষ্যে রাজ্য সরকার বিভিন্ন আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদান করছে। পাশাপাশি কৃষিক্ষেত্রে জ্ঞান অর্জন করার জন্য কৃষি জ্ঞানার্জন কেন্দ্রও খোলা হচ্ছে। যাতে করে কৃষকগণ তাদের জমির ফসল উৎপাদন করতে কোন অসুবিধার সম্মুখীন হতে না হয়। ৪ জানুয়ারি মজলিশপুরে কৃষক জ্ঞানার্জন কেন্দ্রের উদ্বোধন করে একথা বলেন এলাকার বিধায়ক তথা তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। তিনি বলেন, এখন প্রশাসন জনগণের মধ্যে যাচ্ছে। জনগণ প্রশাসনের কাছে যেতে হচ্ছে না। তাই রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে এইরূপ জ্ঞানার্জন কেন্দ্র খোলার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়ন তহবিলের অর্থানুকুল্যে নবনির্মিত কৃষক জ্ঞানার্জন কেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৫৮ লক্ষ টাকা। তিনি আরও বলেন, কৃষকরা হল এদেশের অন্নদাতা। তাই কৃষকদের শক্তিশালী করতে হবে। কৃষকরা শক্তিশালী হলে দেশ বা রাজ্যের অর্থনীতি শক্তিশালী হবে। কৃষকদের অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে সহায়তা করে চলেছে। এই জ্ঞানার্জন কেন্দ্র উদ্বোধনের ফলে এখন এই অঞ্চলের কৃষকদের কোন পরামর্শের জন্য দূরে কোথাও যেতে হবে না। এখন দরজার কাছেই এই সুবিধা পাওয়া যাবে। ফুলচাষ সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, রাজ্য সরকার এখন ফুল চাষেও সমৃদ্ধি লাভ করছে। এখন আর আগের মত বাইরে থেকে ফুল আমদানি তেমন করতে হচ্ছে না। তিনি দৃষ্টান্ত দিয়ে বিশালগরের লক্ষ্মীবিল গ্রামের কথা উল্লেখ করেন। কৃষি ও উদ্যান পালনের মাধ্যমে কৃষকরা স্বনির্ভর হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জিরানীয়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন মঞ্জু দাস, ভাইস চেয়ারম্যান প্রীতম দেবনাথ, কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা শরদিন্দু দাস, উদ্যানপালন ও ভূমি সংরক্ষণ দপ্তরের অধিকর্তা ড. ফনীভূষণ জমাতিয়া, সমাজসেবী গৌরাঙ্গ ভৌমিক প্রমুখ। অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী কৃষক স্বপন দেবনাথকে পাওয়ার টিলার এবং কৃষক অজিত চক্রবর্তীকে পাওয়ার থ্রেশার তুলে দেন।

তাছাড়া তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী আজ জিরানীয়া মহকুমায় শচীন্দ্রনগর কলোনীতে একটি উপকৃষি বীজাগার তথা গ্রামসেবক কেন্দ্রেরও উদ্বোধন করেন। গ্রামসেবক কেন্দ্রের উদ্বোধন করে তিনি বলেন, এই অঞ্চলে এই বীজাগার কেন্দ্রের ফলে এই অঞ্চলের কৃষকরা আর দূর দূরান্তরে গিয়ে কৃষিজ কাজে ব্যবহারের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সামগ্রী আর আনতে হবে না। এখন নিজের অঞ্চলেই এগুলি পাওয়া যাবে। প্রসঙ্গত শচীন্দ্রনগর গ্রামপঞ্চায়েত কার্যালয় সংলগ্ন স্থানে এই বীজাগার কেন্দ্রটি গড়ে তোলা হয়েছে। এখানে তিনি কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং রাজ্য সরকারের বিভিন্ন কৃষক প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করেন।


You can post your comments below  
নিচে আপনি আপনার মন্তব্য বাংলাতেও লিখতে পারেন।  
বিঃ দ্রঃ
আপনার মন্তব্য বা কমেন্ট ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষাতেই লিখতে পারেন। বাংলায় কোন মন্তব্য লিখতে হলে কোন ইউনিকোড বাংলা ফন্টেই লিখতে হবে যেমন আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড (Avro Keyboard)। আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ডের সাহায্যে মাক্রোসফট্ ওয়ার্ডে (Microsoft Word) টাইপ করে সেখান থেকে কপি করে কমেন্ট বা মন্তব্য বক্সে পেস্ট করতে পারেন। আপনার কম্পিউটারে আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড বাংলা সফ্টওয়ার না থাকলে নিম্নে দেয়া লিঙ্কে (Link) ক্লিক করে ফ্রিতে ডাওনলোড করে নিতে পারেন।
 
Free Download Avro Keyboard  
Name *  
Email *  
Address  
Comments *  
 
 
Posted comments
Till now no approved comments is available.