Hare to Whatsapp
শিশুদের যথাযথ বিকাশে অভিভাবক সহ সমাজের সকল নাগরিকদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, জানুয়ারি ২, : প্রত্যেক শিশু তার কিছু নিজস্বতা নিয়ে জন্মায়। শিশুদের যথাযথ বিকাশে অভিভাবক সহ সমাজের সকল নাগরিকদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে। ১ জানুয়ারি আগরতলার বড়দোয়ালীর মধ্যপাড়ায় নব অঙ্গীকার সামাজিক সংস্থা আয়োজিত ১৪তম শিশু মেলা ও রক্তদান উৎসবের উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে শিশু মেলার আয়োজন করা হয়। এই শিশু মেলাগুলিতে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে ছোট ছোট শিশুরা সহজেই তাদের অন্তর্নিহিত প্রতিভাগুলিকে বিকশিত করার সুযোগ পায়। এধরণের অনুষ্ঠান শিশুদের বড় আঙ্গিনায় নিজেদের মেলে ধরার পথকে সুগম করে। এই ধরণের শিশু মেলায় কবিতা, আবৃত্তি, সঙ্গীত, নৃত্যের মধ্য দিয়ে রাজ্যের কৃষ্টি-সংস্কৃতি ও পরম্পরাকে আমরা খুঁজে পাই। শিশু মেলা উপলক্ষে এদিন নব অঙ্গীকার সামাজিক সংস্থা রক্তদান উৎসবেরও আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শিশুরা হচ্ছে মাটির মতো। তাদেরকে যেভাবে গড়া হয় তারা সেই ভাবেই গড়ে উঠে। তবে প্রত্যেকটি শিশুর মধ্যে সুপ্ত কিছু প্রতিভা লুকিয়ে থাকে। সেই অন্তর্নিহিত প্রতিভাগুলিকে তুলে ধরার দায়িত্ব অভিভাবক সহ সমাজের প্রত্যেকটি নাগরিকের। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের পাশাপাশি শিশুদের আধ্যাত্মিক বিকাশের কথাও উল্লেখ করেন। অনুষ্ঠানে রক্তদান সম্পর্কে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রক্তের যেমন কোন ধর্ম হয় না, তেমনি জলেরও নিজস্ব কোন ধর্ম নেই। তাই এই জল ও রক্তকে সামনে রেখে আমরা সবাই এক ও অভিন্ন সেই চিন্তাধারাকে বজায় রাখতে হবে। বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের এক বহমান ধারা আমাদের রাজ্যে রয়েছে। রাজ্যের ১৯টি জনজাতিগোষ্ঠীর কৃষ্টি, সংস্কৃতিকে এক সূত্রে বেঁধে এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়ে তোলার প্রয়াস নিয়েছে সরকার।
অনুষ্ঠানে আগরতলা পুরনিগমের মেয়র দীপক মজুমদার বলেন, শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশের ক্ষেত্রে শিশু মেলা একটি অত্যন্ত উপযোগী প্ল্যাটফর্ম। বর্তমানে শিশুদের পুঁথিগত বিদ্যার পাশাপাশি সঙ্গীত, নৃত্য, শারীর চর্চা, যোগ ব্যায়াম ইত্যাদি ক্ষেত্রে যুক্ত করা হচ্ছে। তিনি বলেন, শিশু মেলা যত বেশি আয়োজন করা হবে তত শিশুরা তাদের মেধা ও প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পাবে। অনুষ্ঠানে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন আগরতলা পুরনিগমের কর্পোরেটর সম্পা সরকার চৌধুরী, শহর দক্ষিণাঞ্চল ক্লাব কমিটির সভাপতি জয়ন্ত চৌধুরী, শিশু মেলা আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান নারায়ণ মিত্র, নব অঙ্গীকার সামাজিক সংস্থার সম্পাদক দেবদাস বক্সি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিশু মেলা আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক তারক চন্দ্র বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে সারথি নামে একটি স্মরণিকাও প্রকাশিত হয়। মুখ্যমন্ত্রী সহ উপস্থিত অতিথিগণ এই স্মরণিকার আবরণ উন্মোচন করেন। তাছাড়া অনুষ্ঠানে সামাজিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য এলাকার বিশিষ্ট নাগরিকদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। রক্তদান উৎসবে এলাকার ২২ জন রক্তদান করেন।