Hare to Whatsapp

কৃষকদের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন না হলে সমাজ বা দেশ উন্নয়ন মুখী হতে পারে না : মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদন

আগরতলা, ডিসেম্বর ২৯, : রাজ্য সরকার প্রতিটি কৃষি মহকুমায় আধুনিক কৃষি পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজ করছে। ভারতবর্ষ হল কৃষি প্রধান দেশ। কৃষকদের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন না হলে সমাজ বা দেশ উন্নয়ন মুখী হতে পারে না। ২৮ ডিসেম্বর মান্দাই ব্লকের বোরাখায় ১ হাজার মেট্রিকটন ক্ষমতাসম্পন্ন নবনির্মিত চাল গুদাম ও নবনির্মিত কৃষক জ্ঞানার্জন কেন্দ্র এবং মান্দাইয়ে কৃষক বন্ধু কেন্দ্রের উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা। উল্লেখ্য, গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে নবনির্মিত ১ হাজার মেট্রিকটন ক্ষমতাসম্পন্ন চাল গুদাম নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা। জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের আর্থিক সহায়তায় নবনির্মিত কৃষক জ্ঞানার্জন কেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৫০ লক্ষ টাকা। মান্দাইয়ে গৌরমনি স্টেডিয়াম সংলগ্ন নবনির্মিত কৃষক বন্ধু কেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৫০ লক্ষ টাকা।

এ উপলক্ষে আজ মান্দাই গৌরমনি স্টেডিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্যে সার্বিক উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ চলছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সব সময় চিন্তা ভাবনা করেন কিভাবে দেশের কৃষকদের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন করা যায়। তাঁর মার্গ দর্শনে রাজ্যেও কৃষকদের উন্নতির জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে কৃষি দপ্তর। তিনি দৃষ্টান্ত দিয়ে বলেন, কোভিডের সময় অনেক উন্নত দেশের জিডিপি হ্রাস পেয়েছে। কিন্তু ভারতবর্ষে প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টিসম্পন্ন কাজের জন্য জিডিপি হ্রাস পায়নি। তিনি বলেন, রাজ্যের প্রতিটি দপ্তর জনগণের কাছে বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ করে চলেছে। রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পগুলি যাতে একশ শতাংশ জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায় তার জন্য সরকার প্রতি ঘরে সুশাসন অভিযান বাস্তবায়িত করেছে। এই অভিযানের মাধ্যমে গ্রামস্তর থেকে শুরু করে জেলাস্তর পর্যন্ত সভা, শিবির করা হয়েছে। যাতে করে সমাজের অন্তিম ব্যক্তি পর্যন্ত উপকৃত হয়। সরকার কথায় বিশ্বাস করে না, কাজে বিশ্বাস করে। রাজ্যের জাতি জনজাতির মৈত্রীর বন্ধন আরও সুদৃঢ় করে রাজ্যকে উন্নয়নের পথে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে একটি স্বচ্ছ প্রশাসন চলছে। রাজ্য সরকার বিভিন্ন নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছতার সঙ্গে রূপায়ণ করছে। সামাজিক ভাতা দুই হাজার টাকা করা হয়েছে। শিল্পের অগ্রগতিতেও রাজ্য সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে।

অনুষ্ঠানে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় বলেন, রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কৃষকদের জন্য উন্নত পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে। যাতে করে কৃষকরা তাদের রোজগার বৃদ্ধি করতে পারে। কৃষকদের আধুনিক যন্ত্রপাতি থেকে শুরু করে সার, বীজ দেওয়া হচ্ছে।

পাশাপাশি কৃষকরা যাতে তাদর উৎপাদিত ফসলের সঠিক মূল্য পায় তার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। সরকার ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় করছে। তিনি বলেন, শুধু যন্ত্রপাতি দিলেই হবে না, কৃষকদের সঠিক পরামর্শ দেওয়ার জন্য প্রতিটি কৃষি মহকুমায় কৃষক বন্ধু কেন্দ্র, কৃষক জ্ঞানার্জন কেন্দ্র খুলে দেওয়া হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের সচিব অপূর্ব রায়। উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা সরকার দেব, বিধায়ক বীরেন্দ্র দেববর্মা, কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা শরদিন্দু দাস, উদ্যান পালন ও ভূমি সংরক্ষণ দপ্তরের অধিকর্তা ড. ফনীভূষণ জমাতিয়া, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক দেবপ্রিয় বর্ধন, সমাজসেবী অসিত রায় প্রমুখ।


You can post your comments below  
নিচে আপনি আপনার মন্তব্য বাংলাতেও লিখতে পারেন।  
বিঃ দ্রঃ
আপনার মন্তব্য বা কমেন্ট ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষাতেই লিখতে পারেন। বাংলায় কোন মন্তব্য লিখতে হলে কোন ইউনিকোড বাংলা ফন্টেই লিখতে হবে যেমন আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড (Avro Keyboard)। আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ডের সাহায্যে মাক্রোসফট্ ওয়ার্ডে (Microsoft Word) টাইপ করে সেখান থেকে কপি করে কমেন্ট বা মন্তব্য বক্সে পেস্ট করতে পারেন। আপনার কম্পিউটারে আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড বাংলা সফ্টওয়ার না থাকলে নিম্নে দেয়া লিঙ্কে (Link) ক্লিক করে ফ্রিতে ডাওনলোড করে নিতে পারেন।
 
Free Download Avro Keyboard  
Name *  
Email *  
Address  
Comments *  
 
 
Posted comments
Till now no approved comments is available.