Hare to Whatsapp
রাজ্যের সার্বিক বিকাশই হলো সরকারের মূল উদ্দেশ্য : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, ডিসেম্বর ২৮, : জনজাতি জনগণের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে রাজ্য সরকার কাজ করছে। রাজ্যের সার্বিক বিকাশই হলো সরকারের মূল উদ্দেশ্য। ২৭ ডিসেম্বর জিরানীয়া মহকুমার বেলবাড়ি ব্লকে খুমতয়া মার্কেটের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাবনা সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস এবং সবকা প্রয়াস। এই নীতি নিয়ে রাজ্য সরকার সব অংশের মানুষের কল্যাণে কাজ করছে। তিনি বলেন, এই অঞ্চলে মার্কেট শেডটি গড়ার ফলে এই অঞ্চলের কৃষকগণ তাদের উৎপাদিত পণ্য সুশৃঙ্খলভাবে বিক্রয় করতে পারবেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতবর্ষ কৃষি নির্ভর দেশ। কৃষকদের আয় বাড়ানোর জন্য রাজ্য সরকার, কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। যার সুফল রাজ্যের কৃষকগণ পাচ্ছেন। উল্লেখ্য, এই মার্কেট শেড নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৬০ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জনজাতি অংশের মানুষের উন্নয়নে বর্তমান সরকার সব সময়ই আন্তরিক। রাজ্যের একমাত্র বিমানবন্দর মহারাজা বীরবিক্রম কিশোর মাণিক্যের নামে করা হয়েছে। জনজাতিদের উৎসব গড়িয়া পূজার ছুটিও বৃদ্ধি করা হয়েছে। রাজ্যের জনজাতির অংশের নাগরিকগণ পদ্মশ্রী পুরস্কার পাচ্ছেন৷ জনজাতি ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিভিন্ন মহকুমায় হোস্টেল গড়ে তোলা হচ্ছে। মহিলা স্বশক্তিকরণের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এখন স্বসহায়ক দল অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। মা বোনেরা স্বনির্ভর হলে ত্রিপুরা আত্মনির্ভর হবে। এখন রাজ্যে মহিলা পরিচালিত থানাও গড়া হয়েছে যেখানে মহিলারা দিনরাত পরিষেবা প্রদান করছেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী চম্পকনগর এডিসি ভিলেজের মহিলা কৃষক সুমিতা দেববর্মার হাতে একটি পাওয়ারটিলার তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায়, পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা সরকার দেব, কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা শরদিন্দু দাস, উদ্যান পালন ও ভূমি সংরক্ষণ দপ্তরের অধিকর্তা ড. ফণীভূষণ জমাতিয়া, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক দেবপ্রিয় বর্ধন, পশ্চিম ত্রিপুরা এগ্রি স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি সমরেশ বিশ্বাস এবং বেলবাড়ি বিএসির চেয়ারম্যান রোকেন দেববর্মা।