Share Whatsapp

রাজ্যের গ্রামীণ এলাকাগুলিতেও কৃষকদের কল্যাণে গড়ে তোলা হচ্ছে উন্নত পরিকাঠামো : মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদন

আগরতলা, ডিসেম্বর ২৮, : রাজ্যে কৃষির বিকাশে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়িত হচ্ছে। কৃষির বিকাশের পাশাপাশি কৃষকদের কল্যাণেও নেওয়া হয়েছে বহুমুখী কর্মসূচি। রাজ্যের গ্রামীণ এলাকাগুলিতেও কৃষকদের কল্যাণে গড়ে তোলা হচ্ছে উন্নত পরিকাঠামো। ২৭ ডিসেম্বর টাকারজলায় ১ হাজার মেট্রিকটন ক্ষমতাসম্পন্ন নবনির্মিত চাল গুদাম ও নবনির্মিত কৃষক জ্ঞানার্জন কেন্দ্রের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। উল্লেখ্য, নাবার্ডের গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে নবনির্মিত ১ হাজার মেট্রিকটন ক্ষমতাসম্পন্ন চাল গুদাম নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা। রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনায় নবনির্মিত কৃষক জ্ঞানার্জন কেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৫৯ লক্ষ টাকা। এ উপলক্ষে আজ উত্তর টাকারজলা উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আত্মনির্ভর ত্রিপুরা গড়ে তুলতে কৃষি ও কৃষি সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের বিকাশের উপর সরকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে।

অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, কৃষকদের আধুনিক চাষাবাদে অভ্যস্ত করে তুলতে রাজ্যের বিভিন্ন কৃষি মহকুমা ও ব্লকগুলিতে কৃষক জ্ঞানার্জন কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। কৃষকদের আয় বৃদ্ধির জন্য রাজ্যে ন্যূনতম সহায়কমূল্যে ধান ক্রয় করা হচ্ছে। এতে রাজ্যের কৃষকগণ লাভবান হচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি প্রতি ঘরে সুশাসন অভিযান সমাপ্ত হয়েছে। এই কর্মসূচিতে প্রশাসনকে মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই অভিযানে রাজ্যের ২৩ লক্ষাধিক মানুষ উপকৃত হয়েছেন। তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের অভিমুখ হচ্ছে এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়ে তোলা। এই লক্ষ্যে নারী স্বশক্তিকরণে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে সরকার। ত্রিপুরা গ্রামীণ জীবিকা মিশনে মহিলাদের আত্মনির্ভর করে তোলা হচ্ছে স্বসহায়ক দলের সাথে যুক্ত করে।

অনুষ্ঠানে কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায় বলেন, কৃষকদের রোজগার বৃদ্ধি পেলেই রাজ্যের অর্থনৈতিক বুনিয়াদ সুদৃঢ় হবে। এই লক্ষ্যেই কৃষক কল্যাণে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। চলতি মরশুমে রাজ্যে কৃষকদের কাছ থেকে ৩৫ হাজার মেট্রিকটন ধান ক্রয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে উন্নত চাষাবাদে অভ্যস্ত করে তোলা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিধায়ক বীরেন্দ্র কিশোর দেববর্মা। সভাপতিত্ব করেন সিপাহীজলা জিলা পরিষদের সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত। উপস্থিত ছিলেন সিপাহীজলা জিলা পরিষদের কৃষি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি বিশ্বজিৎ সাহা, ত্রিপুরা মহিলা কমিশনের সদস্য মৌসুমী দাস, সমাজসেবী গৌরাঙ্গ ভৌমিক, উদ্যান পালন ও ভূমি সংরক্ষণ দপ্তরের অধিকর্তা ড. ফণী ভূষণ জমাতিয়া প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা শরদিন্দু দাস। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ১২ জন কৃষকের হাতে প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিঞ্চাই যোজনা ও সাবমিশন অন এগ্রিকালচার মেকানাইজেশন প্রকল্পে পাওয়ারটিলার সহ বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রপাতি তুলে দেন।


You can post your comments below  
নিচে আপনি আপনার মন্তব্য বাংলাতেও লিখতে পারেন।  
বিঃ দ্রঃ
আপনার মন্তব্য বা কমেন্ট ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষাতেই লিখতে পারেন। বাংলায় কোন মন্তব্য লিখতে হলে কোন ইউনিকোড বাংলা ফন্টেই লিখতে হবে যেমন আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড (Avro Keyboard)। আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ডের সাহায্যে মাক্রোসফট্ ওয়ার্ডে (Microsoft Word) টাইপ করে সেখান থেকে কপি করে কমেন্ট বা মন্তব্য বক্সে পেস্ট করতে পারেন। আপনার কম্পিউটারে আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড বাংলা সফ্টওয়ার না থাকলে নিম্নে দেয়া লিঙ্কে (Link) ক্লিক করে ফ্রিতে ডাওনলোড করে নিতে পারেন।
 
Free Download Avro Keyboard  
Name *  
Email *  
Address  
Comments *  
 
 
Posted comments
Till now no approved comments is available.