Hare to Whatsapp
শিল্প ও বাণিজ্যের প্রসার হলেই রাজ্য আত্মনির্ভর হতে পারবে : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, ডিসেম্বর ২৬, : আমরা চাই নিজেরাই আত্মনির্ভর হতে। অন্যের উপর নির্ভর না করে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য রাজ্য সরকার বিভিন্ন প্রচেষ্টা নিয়েছে। এজন্য শিল্প এবং ব্যবসা ও বাণিজ্যর প্রসার বৃদ্ধিতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। শিল্প ও বাণিজ্যের প্রসার হলেই রাজ্য আত্মনির্ভর হতে পারবে। ২৫ ডিসেম্বর হাঁপানিয়া আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গণে ৩৩তম শিল্প ও বাণিজ্য মেলার সমাপ্তি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে একটি বিশেষ দিন। প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর জন্মদিন। এই বিশেষ দিনে আমরা তাঁকে শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনা, অন্ত্যোদ্বয় যোজনা অটল বিহারী বাজপেয়ীর প্রধানমন্ত্রীত্বের সময়কালেই চালু হয়েছিল।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আত্মনির্ভর ভারত গড়ার যে আহ্বান জানিয়েছেন সেই দিশাতেই সরকার আত্মনির্ভর ত্রিপরা গড়ে তুলতে কাজ করছে। আত্মনির্ভর ত্রিপুরা গড়ে তুলতেই আগর উড পলিসি, রাজ্যের চা শিল্পের উন্নতিকরণ, উদ্যানজাত ফসলকে ভিত্তি করে শিল্প এবং বাঁশভিত্তিক শিল্পে দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে উন্নতিকরণের জন্য সরকার উদ্যোগ নিয়েছে সহজে ব্যবসা ও বাণিজ্য করার জন্য ওয়ান উইন্ডো সিস্টেম চালু করা হয়েছে। উন্নতমানের রাবারের জন্য স্মোক হাউজ নির্মাণে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রাজ্যে প্রাপ্ত মূল্যবান আগর গাছকে ভিত্তি করে ব্যবসা ও বানিজ্য প্রসারের লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই দেশ বিদেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে আগর উড সামিট হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে পর্যটন শিল্পের প্রসার ঘটছে, সম্প্রতি আগরতলায় টেলিভিশন ও ফিল্ম ইন্সটিটিউট চালু হয়েছে। এক কথায় রাজ্যে সব দিক থেকেই শিল্প প্রসারের ইতিবাচক উদ্যোগ দেখা দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ডা. সাহা আন্তর্জাতিক এই শিল্প মেলায় যে সমস্ত দেশী বিদেশী সংস্থা অংশ নিয়েছেন তাদের অভিনন্দন জানান।
শিল্প ও বাণিজ্য মেলার সমাপ্তি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের মন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা এবং নেডফির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এস কে বরুয়া। মেলার সমাপ্তি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি স্টলের প্রতিনিধিদের হাতে উৎকর্ষতার নিরিখে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এ উপলক্ষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় এবং প্রচুর দর্শকের সমাগম হয়। সমাপ্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক মিমি মজুমদার, ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান সন্তোষ সাহা, পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা সরকার দেব, ত্রিপুরা হস্ততাঁত ও হস্তকারু শিল্পের চেয়ারম্যান বলাই গোস্বামী, নেডফির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এস কে বরুয়া এবং শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের অধিকর্তা বিশ্বশ্রী বি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের বিশেষ সচিব অভিষেক চন্দ্ৰা৷।