Hare to Whatsapp
নেশামুক্ত ত্রিপুরা গড়ে তুলতে যুব সমাজের একটা বড় ভূমিকা রয়েছে : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, ডিসেম্বর ২৪, : বর্তমান সরকার নেশার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে কাজ করছে। সরকারের এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে যুব সমাজের একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। যুব সমাজ ছাড়াও সমাজের প্রতিটি অংশের নাগরিকের সম্মিলিত প্রয়াসেই নেশামুক্ত ত্রিপুরা গড়ে তোলা সম্ভব। ২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে খেলো ত্রিপুরা, সুস্থ ত্রিপুরা কর্মসূচির সমাপ্তি অনুষ্ঠান উপলক্ষে আয়োজিত বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, গত এক মাসব্যাপী যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের উদ্যোগে সারা রাজ্যব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে খেলো ত্রিপুরা, সুস্থ ত্রিপুরা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এই কর্মসূচির মুখ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে ত্রিপুরাকে নেশামুক্ত রাজ্য হিসেবে গড়ে তোলা। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আজকের সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার সাফল্য কামনা করেন। অনুষ্ঠানে উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা বলেন, ভারতের সবচেয়ে বড় শক্তি যুব শক্তি। এই যুব শক্তিকে সংগঠিত করেই নেশার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে হবে। তাহলেই ত্রিপুরাকে নেশামুক্ত হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব।
অনুষ্ঠানে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়ামন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের উদ্যোগে গত এক মাসব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে খেলো ত্রিপুরা, সুস্থ ত্রিপুরা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। যার মুখ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে রাজ্যের যুব সমাজকে নেশা থেকে দূরে রাখা। তিনি বলেন, এই কর্মসূচির বিভিন্ন পদক্ষেপের মধ্যে রাজ্যের ১,৫০০ ক্লাবের মধ্যে বিনামূল্যে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করা হবে। আজ আগরতলার ২৫টি ক্লাবকে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করা হবে। তিনি বলেন, পরবর্তী সময় ধাপে ধাপে রাজ্যের অন্যান্য ক্লাবগুলিকেও ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করা হবে।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুরনিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা সরকার দেব, মুখ্যসচিব জে কে সিনহা, রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক অমিতাভ রঞ্জন, যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের সচিব ড. পি কে চক্রবর্তী, অধিকর্তা সুবিকাশ দেববর্মা, উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মন্ত্রী মহেন্দ্ৰ সিং প্রমুখ।