Hare to Whatsapp
উন্নয়ন কর্মসূচিতে জনগণের অংশগ্রহণ সুনিশ্চিত করতে এই অভিযান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে : তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, ডিসেম্বর ২২, : রাজ্য সরকার গত ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মদিনকে স্মরণে রেখে রাজ্যে প্রতি ঘরে সুশাসন অভিযানের সূচনা করেছিল। এই অভিযানের সমাপ্তি হবে আগামী ২৫ ডিসেম্বর প্রয়াত প্ৰধানমন্ত্ৰী অটল বিহারী বাজপেয়ীর জন্মদিনে। উন্নয়ন কর্মসূচিতে জনগণের অংশগ্রহণ সুনিশ্চিত করতে এই অভিযান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। প্রতি ঘরে সুশাসন অভিযানের সমাপ্তি অনুষ্ঠান সফল করে তুলতে রাজ্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। ২১ ডিসেম্বর আগরতলা পুরনিগমের কনফারেন্স হলে প্রতি ঘরে সুশাসন অভিযানের সমাপ্তি অনুষ্ঠানের এক প্রস্তুতি সভায় তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী একথা বলেন। প্রস্তুতি সভায় তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী বলেন, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর এই অভিযানের নোডাল দপ্তর হলেও এই কর্মসূচি সরকার, জনসাধারণ ও সকল দপ্তরের। সমাপ্তি অনুষ্ঠান সফল করে তুলতে আগরতলা পুরনিগমকেও উদ্যোগী ভূমিকা নিতে হবে। প্রস্তুতি সভায় আগরতলা পুরনিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, ডেপুটি মেয়র মণিকা দাস দত্ত, পারিষদগণ, পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা সরকার দেব, ডুকলি পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান অজয় দাস, পুরাতন আগরতলা পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ শীল, পশ্চিম জেলার জেলাশাসক দেবপ্রিয় বর্ধন, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা রতন বিশ্বাস, আগরতলা পুরনিগমের অতিরিক্ত কমিশনার মহ: সাজ্জাদ পি ছাড়াও বিভিন্ন দপ্তরের পদস্থ আধিকারিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রস্তুতি সভায় তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী বলেন, এই অভিযানে গ্রামপঞ্চায়েত, এডিসি ভিলেজ, ব্লকভিত্তিক ও জেলাভিত্তিক বিকাশ মেলা ও সুশাসন শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজ্যের সর্বত্র এই অভিযানে নাগরিকদের কাছে সরকারি প্রকল্প ও পরিষেবার সুযোগ পৌছে দেওয়া হয়েছে। অভিযান চলাকালীন সময়ের মধ্যে জেলাভিত্তিক, ব্লকভিত্তিক, গ্রামপঞ্চায়েত ও ভিলেজভিত্তিক সাফল্যের রিপোর্ট কার্ড নোডাল দপ্তরের কাছে এসেছে। আগামী ২৫ ডিসেম্বর এই অভিযানের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে রিপোর্ট কার্ড জনসাধারণের হাতে তুলে দেওয়া হবে। সভায় তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সমাপ্তি অনুষ্ঠানে আগরতলা পুরনিগমের প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে জনগণের অংশগ্রহণ সুনিশ্চিত করার জন্য গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি কর্পোরেটরদের এজন্য উদ্যোগী হওয়ার অনুরোধ জানান। সভায় তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী ‘নেশামুক্ত ত্রিপুরা’ বিষয়ক আলোচনায় অংশ নিয়ে আগামী ২৩ ডিসেম্বর স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে অনুষ্ঠিতব্য ‘খেলো ত্রিপুরা, সুস্থ ত্রিপুরা' কর্মসূচিকেও সফল করে তুলতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রস্তুতি সভায় আগরতলা পুরনিগমের মেয়র দীপক মজুমদার সকলকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, প্রতি ঘরে সুশাসন অভিযানে পুরনিগমের ৫১টি ওয়ার্ডের অনেকেই বিভিন্ন সুবিধা পেয়েছেন। মন্ত্রী যে আবেদন করেছেন তা আমরা সবাই মিলে সফল করব। সভায় তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা রতন বিশ্বাস বলেন, এই অনুষ্ঠানে সকলকে আমন্ত্রণ জানাই। তিনি বলেন, এই অনুষ্ঠানে ইনডোর এবং আউটডোর এই দুটি বিভাগে হবে। থাকবে প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। তিনি ঐদিন রবীন্দ্রভবনে সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, এই অনুষ্ঠানের সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।