Hare to Whatsapp
বিদ্যুৎ নিগমের বাস্তুকার, লাইনম্যান ও কর্মচারিদের প্রচেষ্টাতেই রাজ্য পুরস্কার পেয়েছে : উপমুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, ডিসেম্বর ২১, : মানুষের জীবনকে আলোকিত করার জন্য ত্রিপুরা রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম লিমিটেড কাজ করছে। রাজ্য সরকার বিদ্যুৎ পরিষেবা ও পরিকাঠামোর উন্নয়নে অগ্রাধিকার দিয়েছে। বিদ্যুৎ পরিষেবায় বিনিয়োগও বৃদ্ধি করা হয়েছে। ২০ ডিসেম্বর ৭৯-টিলাস্থিত ট্রান্সমিশন অফিসের কনফারেন্স হলে ত্রিপুরার এসএলডিসি'র স্টেট লোড ডেসপ্যাচ সেন্টার এক্সিলেন্স পুরস্কার-২০২২ প্রাপ্তির উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা এই কথা বলেন। উল্লেখ্য, গত ১৭ ডিসেম্বর দিল্লি আইআইটিতে অনুষ্ঠিত ২২তম ন্যাশনাল পাওয়ার সিস্টেম কনফারেন্সে ত্রিপুরা স্টেট লোড ডেসপ্যাচ সেন্টারকে এলডিসি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২২ প্রদান করা হয়। জিসিআইএলডি এবং ফোল্ড-এর চেয়ারম্যান কেপিএস ভাবা ত্রিপুরা রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম লিমিটেডের (ট্রান্সমিশন) জেনারেল ম্যানেজার রঞ্জন দেববর্মার হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন। ন্যাশনাল পাওয়ার সিস্টেম কনফারেন্স এবং ফোরাম অব লোড ডেসপাচার সাব গ্রুপ কমিটি সমগ্র দেশে ইমার্জিং বিভাগে ১৪টি রাজ্যের মধ্যে ত্রিপুরা রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম লিমিটেডের অধীন ত্রিপুরা স্টেট লোড ডেসপ্যাচ সেন্টারকে ইমার্জিং ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ হিসেবে বিবেচনা করে এই পুরস্কার প্রদান করে। পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয়েছে স্মারক, মানপত্র ও শংসাপত্র।
আজ ৭৯-টিলাস্থিত ট্রান্সমিশন অফিসের কনফারেন্স হলে এলডিসি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২২ উদযাপন অনুষ্ঠানে এই স্মারক পুরস্কার ও শংসাপত্র উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা ও বিদ্যুৎ দপ্তরের সচিব ব্রিজেশ পান্ডের হাতে তুলে দেন ডিরেক্টর ফিন্যান্স (টিএসইসিএল) এস এস ডোগরা এবং ট্রান্সমিশনের জেনারেল ম্যানেজার রঞ্জন দেববর্মা। পুরস্কার গ্রহণ করে উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা বলেন, বিদ্যুৎ সেক্টরে বর্তমানে অনেক কাজ চলছে। আগামী ২৩ ডিসেম্বর গন্ডাছড়া-আমবাসা ১৩২ কেভি লাইন চালু করা হবে। বিদ্যুৎ নিগমের সকলস্তরের বাস্তুকার, লাইনম্যান ও অন্যান্য কর্মচারিরা দিনরাত কাজ করেন। বিদ্যৎ নিগমের বাস্তুকার, লাইনম্যান ও কর্মচারিদের প্রচেষ্টাতেই রাজ্য এই পুরস্কার পেয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ পরিষেবা ও স্থায়িত্বে ত্রিপুরা আগে দেশে ৪৭-নাম্বারে ছিল। এখন ২২- নাম্বারে চলে এসেছে। তিনি বলেন, এই পারফরম্যান্সকে আরও এগিয়ে নিতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে রাজ্যে মোট ৫৫টি সাব স্টেশন রয়েছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, মানুষের জীবন আলোকিত কর। তাঁর পথ ধরেই আমরা এগিয়ে চলেছি। একে আরও মসৃণ রাখতে ঝড়, বৃষ্টি এবং প্রতিকূল আবহাওয়াতেও বিদ্যুৎ পরিষেবা অক্ষুন্ন রাখতে বিদ্যুৎ কর্মীদের প্রতি তিনি আবেদন রাখেন। তিনি বলেন, কেননা পাওয়ার না থাকলে মানুষের পাওয়ারও থাকবে না। বিশেষ অতিথির ভাষণে বিদ্যুৎ দপ্তরের সচিব ব্রিজেশ পান্ডে এই পুরস্কার পাওয়ার জন্য এসএলডিসি'র আধিকারিক ও কর্মচারিদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, গ্রীড অপারেশন, পাওয়ার মার্কেট অপারেশন, ক্রস বর্ডার ট্র্যানজেকশন এবং রিয়েল টাইম পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট এর জন্য এই পুরস্কার এসেছে। বাংলাদেশও ত্রিপুরার বিদ্যুৎ পরিষেবা পেয়ে খুশি রয়েছে। এছাড়া বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরা ইলেক্ট্রিসিটি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান ডি. রাধাকৃষ্ণা ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর দেবাশীষ সরকার। স্বাগত ভাষণ দেন ট্রান্সমিশনের জেনারেল ম্যানেজার রঞ্জন দেববর্মা। অনুষ্ঠানে এসএলডিসি'র পক্ষ থেকে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয়। সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ডিরেক্টর ফিনান্স (টিএসইসিএল) এস এস ডোগরা।