Hare to Whatsapp
জনকল্যাণে বর্তমান সরকার স্বচ্ছ নীতি নিয়েই কাজ করছে : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, ডিসেম্বর ১৫, : রাজ্যে সমস্ত অংশের মানুষের কল্যাণে সরকার কাজ করছে। আগামীদিনেও এই কাজের ধারা অব্যাহত থাকবে। ১৪ ডিসেম্বর পুরাতন আগরতলার কৃষ্ণমালা মঞ্চ প্রাঙ্গণে প্রতি ঘরে সুশাসন অভিযানে দুদিনব্যাপী পশ্চিম ত্রিপুরা জেলাভিত্তিক সুশাসন মেলার উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জনকল্যাণে সরকার স্বচ্ছতার নীতি নিয়ে কাজ করছে। কেন্দ্রীয় সরকার যেমন সমগ্র দেশে একটি স্বচ্ছতার নীতি নিয়ে কাজ করছে তেমনি রাজ্যেও বর্তমান সরকার স্বচ্ছ নীতি নিয়েই কাজ করছে। উন্নয়ন কর্মসূচি রূপায়ণে আমাদের রাজ্য গুড গভর্ন্যান্সের তালিকায় দেশের মধ্যে পঞ্চম স্থানে রয়েছে। এটা আমাদের কাছে গৌরবের। প্রতি ঘরে সুশাসন অভিযানে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প ও পরিষেবার সুযোগ সমস্ত অংশের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। আজ মুখ্যমন্ত্রী জেলাভিত্তিক সুশাসন মেলার উদ্বোধনের আগে পুরাতন আগরতলা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। জেলাভিত্তিক সুশাসন মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা সরকার দেব। উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, কারামন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল, বিধানসভার অধ্যক্ষ রতন চক্রবর্তী, আগরতলা পুরনিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, পুরাতন আগরতলা পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ শীল, রাজস্ব দপ্তরের প্রধান সচিব পুনীত আগরওয়াল, স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিব ড. দেবাশিস বসু। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক দেবপ্রিয় বর্ধন। দুদিনব্যাপী সুশাসন মেলায় রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তর থেকে প্রদর্শনী স্টল খোলা হয়।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা বলেন, রাজ্যের সমস্ত অংশের মানুষের কাছে বিভিন্ন প্রকল্প ও পরিষেবার সুযোগ পৌঁছে দিতেই প্রতি ঘরে সুশাসন অভিযানের সূচনা হয়েছে। আগামী ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে এই অভিযান চলবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্বচ্ছতার সাথে উন্নয়ন কর্মসূচি রূপায়ণে রাজ্যে ‘আমার সরকার' ওয়েব পোর্টালের সূচনা করা হয়েছে। এই ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে মানুষের কাছে সরকারি পরিষেবা আরও দ্রুত পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে উন্নয়ন কর্মসূচির ধারা অব্যাহত রাখতে জাতি, জনজাতি সহ সকল অংশের মানুষের মধ্যে শান্তি সম্প্রীতি বজায় রাখার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, উন্নয়ন কর্মসূচি ব্যাহত করতে ষড়যন্ত্র হবে। সকলকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। আমাদের লক্ষ্য জনগণের কল্যাণ এবং এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়ে তোলা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিকাশের পথেই সরকার এগিয়ে যাবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী ১৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী রাজ্য সফরে আসছেন। সেদিন তিনি অনেকগুলি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।
অনুষ্ঠানে বিধানসভার অধ্যক্ষ রতন চক্রবর্তী বলেন, প্রতি ঘরে সুশাসন অভিযানের মধ্য দিয়ে সরকার দীর্ঘদিনের অন্ধকার দূর করে আলোর সন্ধানে মানুষকে পৌঁছে দিচ্ছে। সরকার নেশার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ ঘোষণা করে যুব সম্প্রদায়কে শুভশক্তির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, পুরাতন আগরতলা এলাকায় আজ উন্নয়নের ছোঁয়া এসে পৌঁছেছে। জেলাভিত্তিক সুশাসন মেলায় মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য অতিথিগণ মুখ্যমন্ত্রী চা শ্রমিক কল্যাণ প্রকল্পে দুটি পরিবারকে জমির পাট্টা, ২ জন সুবিধাভোগীকে মুখ্যমন্ত্রী মাতৃপুষ্টি উপহার প্রকল্পে সহায়তা, ১ জন প্রসূতি মাকে প্রধানমন্ত্রী মাত্র বন্দনা যোজনার সহায়তা, ২০টি স্বসহায়ক দলের মধ্যে ১ কোটি ১৮ লক্ষ টাকার ঋণের মঞ্জুরিপত্র তুলে দেন। তাছাড়াও প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনায় ১ জন মৎস্যজীবীকে অটো ও ১ জন মৎস্যজীবীকে মোটরসাইকেল দেওয়া হয়। তাছাড়াও কৃষি দপ্তর থেকে বিভিন্ন কৃষি সামগ্রীও বিতরণ করা হয়েছে।