Share Whatsapp

শিল্প মেলায় মানুষের মধ্যে রোজগারের ভাবনা সৃষ্টি হয় : অন্যান্য পশ্চাদপদ শ্রেণী কল্যাণমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদন

আগরতলা, ডিসেম্বর ১১, : শিল্প মেলায় মানুষের মধ্যে রোজগারের ভাবনা সৃষ্টি হয়। মেলার মধ্য দিয়ে বর্তমান সরকার মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে এক নতুন দিক তৈরি করছে। বিগত দিনগুলিতে এসব মেলা শুধুমাত্র নিয়ম রক্ষার্থে আয়োজন করা হতো। ১০ ডিসেম্বর হাঁপানিয়া আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গণে ৩৩তম ত্রিপুরা শিল্প ও বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করে একথা বলেন অন্যান্য পশ্চাদপদ শ্রেণী কল্যাণমন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল। উল্লেখ্য, এই মেলা আগামী ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে। এবারের মেলায় মোট ৩১০টি স্টল খোলা হয়েছে। এরমধ্যে ৯০টি সরকারি, ১০টি আন্তর্জাতিক, ৮০টি বহির্রাজ্যের এবং ১৩০টি স্থানীয় ব্যবসায়ীদের স্টল রয়েছে।

শিল্প ও বাণিজ্য মেলা আয়োজনের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে অন্যান্য পশ্চাদপদ শ্ৰেণী কল্যাণমন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল আরও বলেন, বর্তমান সরকারের মূল লক্ষ্য রাজ্যের সমস্ত স্তরের মানুষের সামগ্রিক উন্নয়নের মাধ্যমে সকল পর্যায়ে এই রাজ্যকে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে আসীন করা। তিনি বলেন, বর্তমানে রাজ্যে ভয়মুক্ত পরিবেশে এবং নির্ভেজালভাবে উদ্যোগপতিগণ তাদের ব্যবসা নতুনভাবে শুরু করতে পারছেন। এক্ষেত্রে সরকার প্রয়োজন অনুসারে সব ধরনের সহায়তা করছে। বর্তমানে রাজ্যে ক্ষুদ্র, মাঝারি এবং বড় সকল ধরনের শিল্পের সংখ্যা বিগত দিনের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে। অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে গিয়ে ত্রিপুরা শিল্প উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান টিংকু রায় বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে বন্ধপ্রায় প্রচুর শিল্প প্রতিষ্ঠানকে পুনর্জীবিত করা হয়েছে। তিনি জানান, বর্তমানে রাজ্যে ২৮টি সিএনজি স্টেশন রয়েছে। প্রায় ৬০ হাজার বাড়িতে পাইপলাইনে রান্নার গ্যাসের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। উত্তর ত্রিপুরায় উত্তর পূর্বাঞ্চলের মধ্যে সর্বাধুনিক ধানের মিল খোলা হয়েছে। বর্তমানে ১০০টি ছোট ছোট ইউনিটের মাধ্যমে সম্পূর্ণভাবে প্যাকেটজাত করে ধূপকাঠির শলা বিক্রি করা হচ্ছে। যার মাধ্যমে রাজ্যে বাণিজ্যিক পরিবেশের উন্নয়নের একটি চিত্র ফুটে উঠছে৷ স্বাগত বক্তব্য রাখতে গিয়ে দপ্তরের বিশেষ সচিব অভিষেক চন্দ্রা বলেন, আগামী ১৭ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক প্রাঙ্গণের এক্সিবিশন হলে পিএম গতিশক্তি নিয়ে একদিনের উত্তর পূর্বাঞ্চল আঞ্চলিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে কেন্দ্র ও উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির বিভিন্ন দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ও আধিকারিকগণ উপস্থিত থাকবেন।

আজকের এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজ্যে সহজলভ্য বাঁশ ও রাবার কাঠ দিয়ে তৈরি বিশেষ ধরনের দরজার আবরণ উন্মোচন করেন অন্যান্য পশ্চাদপদ শ্রেণী কল্যাণমন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল সহ অন্যান্য অতিথিগণ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা সরকার দেব, বিধায়ক মিমি মজুমদার, আগরতলাস্থিত বাংলাদেশ অ্যাসিস্টেন্ট হাইকমিশন কার্যালয়ের প্রথম সচিব মোহম্মদ রেজাউল হক চৌধুরী, ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান সন্তোষ সাহা, ত্রিপুরা হস্ততাঁত ও হস্তকার উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান বলাই গোস্বামী ও দপ্তরের অধিকর্তা বিশ্বশ্রী বি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর অতিথিগণ মেলা প্রাঙ্গণের বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।


You can post your comments below  
নিচে আপনি আপনার মন্তব্য বাংলাতেও লিখতে পারেন।  
বিঃ দ্রঃ
আপনার মন্তব্য বা কমেন্ট ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষাতেই লিখতে পারেন। বাংলায় কোন মন্তব্য লিখতে হলে কোন ইউনিকোড বাংলা ফন্টেই লিখতে হবে যেমন আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড (Avro Keyboard)। আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ডের সাহায্যে মাক্রোসফট্ ওয়ার্ডে (Microsoft Word) টাইপ করে সেখান থেকে কপি করে কমেন্ট বা মন্তব্য বক্সে পেস্ট করতে পারেন। আপনার কম্পিউটারে আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড বাংলা সফ্টওয়ার না থাকলে নিম্নে দেয়া লিঙ্কে (Link) ক্লিক করে ফ্রিতে ডাওনলোড করে নিতে পারেন।
 
Free Download Avro Keyboard  
Name *  
Email *  
Address  
Comments *  
 
 
Posted comments
Till now no approved comments is available.