Hare to Whatsapp
সরকার কৃষকদের স্বার্থে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচি রূপায়ণ করছে : কৃষিমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, ডিসেম্বর ১০, : রাজ্য সরকার কৃষকদের স্বার্থে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচি রূপায়ণ করছে। সরকার মেলাঘরে ৫ কোটি ১১ লক্ষ টাকা ব্যয় করে আধুনিক মানের একটি বড় বাজার নির্মাণ করার কাজ শুরু করতে যাচ্ছে। এতে থাকবে ৮৫টি স্টল। দ্বিতল বিশিষ্ট এই মার্কেটে কৃষকদের উৎপাদিত সব্জী ও ফল বাজারজাত করার পাশাপাশি এগুলোকে সতেজ রাখার সুব্যবস্থাও করা হবে। ৯ ডিসেম্বর মেলাঘরে প্রাইমারি রুরাল মার্কেটের উদ্বোধন করে কৃষিমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় একথা বলেন। এদিন কৃষিমন্ত্রী মেলাঘরে পোষ্ট হার্ভেস্ট ম্যানেজমেন্ট সেন্টার ও রুরাল কালেকশন সেন্টারেরও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। তাছাড়াও আজ মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায় কাঁঠালিয়া ব্লক এলাকার মনারচকে গড়ে তোলা ১০০ মেট্রিকটন এগ্রি ইনপুট স্টোরেরও দ্বারোদঘাটন করেন। কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের উদ্যোগে আরআইডিএফ প্রকল্পের আওতায় এই স্টোর নির্মাণ কাজে ব্যয় করা হয়েছে ২১ লক্ষ টাকা।
মেলাঘরে প্রাইমারি রুরাল মার্কেটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষকরা যাতে তাদের উৎপাদিত বিভিন্ন ফসল বাজারজাত করতে পারে তার জন্য সরকার সমস্ত ধরণের ব্যবস্থা হাতে নিয়েছে। সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্যের কৃষকদের স্বার্থে অনলাইন মার্কেটিং এর সুযোগ সুবিধাও। অধিক ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে সরকার কৃষকদের বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রপাতির মাধ্যমে আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদের কাজে সহায়তা ও ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। তিনি বলেন, রাজ্যের কৃষকরা যাতে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে তাদের উৎপাদিত ফসল বাজারজাত করে রোজগার বাড়াতে পারেন তার জন্য বর্তমান সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। রাজ্যের কাঁঠাল, লেবু, আনারস ইত্যাদি সুস্বাদু ফল জার্মান, ইংল্যান্ড ও দুবাইতে রপ্তানী হচ্ছে। কৃষকদের কল্যাণে তাদের উৎপাদিত ধানও বিক্রি করার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে সরকার। তিনি বলেন, এবার রাজ্য সরকার সারা রাজ্যব্যাপী কৃষকদের কাছ থেকে ৩৫ হাজার মেট্রিকটন ধান কেনার পরিকল্পনা নিয়েছে। কৃষিমন্ত্রী বলেন, সারা রাজ্যের ২ লক্ষ ৪৬ হাজারেরও অধিক কৃষককে কিষাণ সম্মাননিধি প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। এতে ৫০৮ কোটি টাকা কৃষকদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উদ্যান ও ভূমি সংরক্ষণ দপ্তরের অধিকর্তা ড. ফনীভূষণ জমাতিয়া ও সমাজসেবী দেবব্রত ভট্টাচার্য। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা শরবিন্দু দাস। উপস্থিত ছিলেন সিপাহীজলা জিলা পরিষদের সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত, মেলাঘর পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন অনামিকা ঘোষ পাল রায়, সোনামুড়া মহকুমার মহকুমা শাসক মানিকলাল দাস প্রমুখ।