Hare to Whatsapp
রাজ্যের সমস্ত অংশের মানুষের আর্থসামাজিক মান উন্নয়নে কাজ করছে সরকার : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, ডিসেম্বর ৮, : জাতি জনজাতি সহ রাজ্যের সমস্ত অংশের মানুষের আর্থসামাজিক মান উন্নয়নে কাজ করছে সরকার। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পগুলিকে রাজ্যের প্রতিটি অন্তিম ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের উন্নয়নে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। ৭ ডিসেম্বর গোমতী জেলার করবুক মহকুমার যতনবাড়ি মোটরস্ট্যান্ড এলাকায় বন দপ্তর দ্বারা আয়োজিত স্ক্যাটফর্ম প্রজেক্টের মাধ্যমে বিভিন্ন আয় উপার্জন সামগ্রী ও ঋণ প্রদান অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে প্রতিটি ব্যক্তিকে আত্মনির্ভর করে গড়ে তোলা। রাজ্যের বিকাশ হলে দেশেরও উন্নয়ন হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দিশায় সবকা সাথ, সবকা বিকাশ এবং সবকা বিশ্বাস নিয়ে কাজ করছে বর্তমান সরকার।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিধায়ক রঞ্জিত দাস বলেন, সাধারণ মানুষের রোজগার বাড়ানোর জন্য সরকার বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করছে। সরকার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে চলেছে। মন্দিরঘাট থেকে যতনবাড়ি পর্যন্ত সড়ক প্রশস্থের কাজ চলছে। এই সড়ক নির্মাণের কাজ শেষ হয়ে গেলে আগামীদিনে নারকেলকুঞ্জ ভ্রমণে দেশ বিদেশের পর্যটকরা আরও বেশি আসবে। যারফলে যতনবাড়ি, নূতনবাজার এলাকার ব্যবসায়ীরা বেশি লাভবান হবেন। উদয়পুর মহারাণী থেকে ছবিমুড়া ভ্রমণে পর্যটকদের আরও বেশি আকর্ষণীয় করে গড়ে তোলার জন্য কাজ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরকেও অন্যতম ধর্মীয় পর্যটনস্থল করার লক্ষ্যে দ্রুত গতিতে কাজ চলছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরা জাইকা প্রজেক্টের সিইও ড. অভিনাশ এম কানফাড়ে, বন দপ্তরের প্রধান সচিব কে এস শেঠি প্রমুখ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন করবুক ব্লক উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান অসীম ত্রিপুরা, গোমতী জেলার জেলাশাসক গভেকার ময়ূর রতিলাল সহ অন্যান্য আধিকারিকগণ। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ রাখেন গোমতী জেলার জেলা বন আধিকারিক ড. এন কে চঞ্চল। অনুষ্ঠানে অতিথিগণ স্ক্যাটফর্ম প্রকল্পে সুবিধাভোগীদের হাতে সরকারি সাহায্য হিসেবে ই-রিক্সা, পর্যটনের নৌকা, মৌমাছি পালনের বাক্স, খেলাধূলার সামগ্রী, জমির পাট্টা, মশারি, ফ্রি ট্রেড লাইসেন্স, শুকর পালনে আর্থিক সহায়তার চেক তুলে দেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমাজসেবী ভাস্কর ভট্টাচার্য।