Hare to Whatsapp
জনজাতিদের কল্যাণে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে সরকার : জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, ডিসেম্বর ৭, : জনজাতিদের কল্যাণে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে সরকার। বিভিন্ন জনজাতি গোষ্ঠীর কৃষ্টি ও সংস্কৃতি বিকাশেও বর্তমান সরকার আন্তরিক। তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে এবং করবুক মহকুমা প্রশাসনের সহযোগিতায় করবুক পাঞ্জিহাম দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় মাঠে ৫ ডিসেম্বর ২৪তম কালাঝারি উৎসবের উদ্বোধন করে একথা বলেন জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী রামপদ জমাতিয়া৷ তিনি বলেন, সংস্কৃতি মানুষের মধ্যে মেলবন্ধন তৈরী করে। আমাদের রাজ্যে ১৯টি জনজাতি গোষ্ঠীর পাশাপাশি বাঙ্গালীদের নিজস্ব কৃষ্টি ও সংস্কৃতি রয়েছে। তাদের নৃত্যশৈলী, সংগীত, চিরাচরিত খাবার প্রতিটি গোষ্ঠীর নিজস্ব পরিচয় বহণ করে। রাজ্যের সার্বিক বিকাশে জাত-পাত, ধর্ম-বর্ণ ভুলে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী শ্রী জমাতিয়া কালাঝারি উৎসব উদযাপনের উদ্দেশ্য ও কালাঝারি পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত জনজাতিদের সাংস্কৃতিক বিকাশে এর গুরুত্ব নিয়েও আলোচনা করেন। এছাড়া তিনি করবুক, অমরপুর এবং গন্ডাতুইসা মহকুমার উন্নয়নে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার ব্যাপারেও সকলের সামনে তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা বলেন, আধুনিকতার পাশাপাশি জাতি এবং জনজাতিদের চিরাচরিত নিজস্ব কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকেও ধরে রাখতে হবে। তিনি বলেন, সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে নিজেকে সমাজে মেলে ধরা যায়। উদাহরণ স্বরূপ তিনি রাজ্যের গর্ব পদ্মশ্রী থাঙ্গা দারলং, বেণীচন্দ্র জমাতিয়া এবং সত্যরাম রিয়াংদের কথা উল্লেখ করেন।
কালাঝারি উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা এই কালাঝারি উৎসবকে আগামীদিনে আরও বড় পরিসরে, রাজ্যের এবং বহির্রাজ্যের মানুষের কাছে বার্তা পৌঁছে দেওয়ার আশা ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে বিধায়ক রঞ্জিত দাস সকলকে জনজাতিদের নিজস্ব কৃষ্টি সংস্কৃতি বিকাশে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। স্বাগত ভাষণ রাখেন ২৪তম কালাঝারি উৎসবের আহ্বায়ক করবুক মহকুমার মহকুমা শাসক পার্থ দাস। এছাড়াও অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিলাছড়ি ব্লক উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান থৈঙ্গ মগ, করবুক ব্লক উপদেষ্টা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান প্রণব কুমার ত্রিপুরা, সমাজসেবী অতীন্দ্র রিয়াং, সঞ্জয় মানিক ত্রিপুরা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন করবুক ব্লক উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান অসীম ত্রিপুরা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংস্কৃতিক মঞ্চে সারারাতব্যাপী গড়িয়া, হজাগিরি, লেবাং বুমানি, মামিতা, বিজু, সাংগ্রাই, ধামাইল ইত্যাদি নৃত্য সহ লোকসঙ্গীত এবং আধুনিক সংগীত পরিবেশিত হয়। অনুষ্ঠানে ২৩টি সাংস্কৃতিক দল অংশগ্রহণ করে।