Hare to Whatsapp
কৃষকরা হচ্ছেন আমাদের অন্নদাতা : তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, ডিসেম্বর ৪, : কৃষকরা হচ্ছেন আমাদের অন্নদাতা। কৃষকদের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচি রূপায়ণ করছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। ২ ডিসেম্বর মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ডিসেম্বর মাসেই রাজ্যের কৃষকদের কাছ থেকে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ৩৫ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনা হবে। তাতে ব্যয় হবে ৮৭ কোটি ৩ লক্ষ টাকা। আজ অমরপুর নতুন টাউনহলে লাভার্থী সম্মেলনের উদ্বোধন করে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী একথা বলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক রঞ্জিত দাস, অমরপুর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান শঙ্করানন্দ সাহা, বিএসি'র চেয়ারম্যান বীরবাহাদুর জমাতিয়া, পানীয় জল ও স্বাস্থ্যবিধান দপ্তরের মুখ্য বাস্তুকার শ্যামলাল ভৌমিক প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন অমরপুর নগরপঞ্চায়েতের চেয়ারপার্সন বিকাশ সাহা। লাভার্থী সম্মেলনের উদ্বোধন করে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী বলেন, প্রতি কেজি ২০ টাকা ৪০ পয়সা দামে যে ধান কেনা হচ্ছে সেই টাকা সরাসরি কৃষকদের অ্যাকাউন্টে দেওয়া হচ্ছে। পিএম-কিষাণ প্রকল্পে কৃষকগণ বছরে ৩ কিস্তিতে ৬ হাজার টাকা করে পাচ্ছেন। বর্তমান সরকার বিভিন্ন সামাজিক ভাতা ২ হাজার টাকা করেছে। আরও ৩০ হাজার গরীব অংশের মানুষকে সামাজিক ভাতা দেওয়া হবে। ঘরে ঘরে পরিশ্রুত পানীয় জল পৌছে দেওয়ার কাজ চলছে। প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কাজও চলছে। তিনি বলেন, রাজ্য সরকার চাইছে প্রতিটি মানুষ স্বাবলম্বী এবং আত্মনির্ভর হয়ে উঠুক।
অনুষ্ঠানে ১১ জন কৃষকের হাতে বিনামূল্যে উইডার মেশিন, পেডি থ্রেচার তুলেদেন তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী। লাভার্থী সম্মেলন উপলক্ষে বিভিন্ন দপ্তরের ১৮টি প্রদর্শনী স্টল খোলা হয়। এই অনুষ্ঠানের আগে পানীয় জল ও স্বাস্থ্যবিধান দপ্তরের মন্ত্রী অমরপুরে দপ্তরের বিভাগীয় কার্যনির্বাহী বাস্তুকারের কার্যালয়ের দ্বারোদঘাটন করেন।