Hare to Whatsapp
মানুষের আর্থসামাজিক মান উন্নয়নে স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করছে সরকার : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, ডিসেম্বর ৪, : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে স্বচ্ছতার সঙ্গে রাজ্যের উন্নয়নে কাজ করছে সরকার। রাজ্যের সর্বত্র সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পগুলি রূপায়িত হচ্ছে। ৩ ডিসেম্বর হাফলংছড়া টিই উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এক অনুষ্ঠানে যুবরাজনগর ব্লকে গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের মহকুমা আধিকারিকের কার্যালয় এবং হাফলং বাজারে নবনির্মিত মার্কেট স্টলের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের মহিলাদের সশক্তিকরণ করার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। মহিলাদের জন্য চাকরিক্ষেত্রে ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, আশা কর্মীদের জন্য ১৫ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছে। বর্তমান রাজ্য সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর স্বসহায়ক দলের সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। যার মাধ্যমে মহিলারা আত্মনির্ভর হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। বর্তমান রাজ্য সরকার মানুষের সরকার। উল্লেখ্য, হাফলং বাজারে সীমান্ত এলাকা উন্নয়ন প্রকল্পে ৩৯টি নতুন স্টল তৈরী করা হয়েছে। এজন্য ব্যয় হয়েছে ৪৭ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের মানুষের আর্থসামাজিক মান উন্নয়নে রাজ্য সরকার কাজ করছে। সামাজিক ভাতা প্রকল্পে আগে যেখানে ৭০০ টাকা ভাতা প্রদান করা হত এখন তা বাড়িয়ে ২ হাজার টাকা করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সামাজিক সহায়তা প্রকল্পে আরও ৩০ হাজার সুবিধাভোগীকে ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের উদ্যোগে অনেক ছোট ছোট শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। রাজ্য সরকার মানুষের কথা চিন্তা করে ‘আমার সরকার' নামে একটি ওয়েব পোর্টাল চালু করেছে। যেখানে মানুষ সরাসরি তাদের বিভিন্ন সমস্যাগুলি জানাতে পারবেন। যার মাধ্যমে রাজ্য সরকার বিভিন্ন স্তরে মানুষের সমস্যাগুলি সমাধানের ক্ষেত্রে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। তিনি বলেন, গত ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে রাজ্যে বিভিন্ন স্তরে প্রতি ঘরে সুশাসন অভিযানে মানুষের মৌলিক পরিষেবাগুলি প্রদানের ক্ষেত্রে কাজ করে চলছে। এই প্রতি ঘরে সুশাসন অভিযানের মাধ্যমে রাজ্যের জনগণ কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পগুলি সম্পর্কে সচেতন হতে পারছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দেশকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচিতে সারা দেশের সাথে রাজ্যের মানুষও বিপুলভাবে সাড়া দিয়েছেন। দেশ শক্তিশালী হলে আমাদের রাজ্যও উপকৃত হবে। তিনি বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খেলাধুলা, কৃষি সমস্ত বিষয়ে দেশে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে।
কৃষকদের কল্যাণে রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে কৃষক বন্ধু কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে কৃষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যার মাধ্যমে কৃষকরা আধুনিক প্রযুক্তিতে কৃষি কাজ করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারবেন। তিনি বলেন, রাজ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আধুনিক ত্রিপুরার রূপকার মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মাণিক্যের অবদানের কথা উল্লেখ করেন। তাঁর নাম অনুসারে আগরতলা বিমানবন্দরের নাম করা হয়েছে বীর বিক্রম এয়ারপোর্ট যা কিছু দিনের মধ্যে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হতে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিধায়ক মলিনা দেবনাথ, টিআইডিসি'র চেয়ারম্যান টিংকু রায়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উত্তর জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক সমাহর্তা বিপ্লব দাস। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উত্তর ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি ভবতোষ দাস, যুবরাজনগর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান শ্রীপদ দাস, ধর্মনগর মহকুমা শাসক অর্ঘ্য সাহা প্রমুখ।