Hare to Whatsapp
স্বচ্ছতার সাথে রাজ্যে মানুষের মৌলিক পরিষেবাগুলি রূপায়িত হচ্ছে : মুখ্যমন্ত্ৰী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, ডিসেম্বর ৩, : স্বচ্ছতার সাথে রাজ্যে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প ও পরিষেবার সুযোগ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এই কাজে সরকার দলমত নির্বিশেষে সকল অংশের মানুষের কল্যাণে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সবকা সাথ সবকা বিকাশের নীতিতে সরকার কাজ করছে। ২ ডিসেম্বর উত্তর ত্রিপুরার জেলা সদর ধর্মনগরের বটরশিতে প্রস্তাবিত জেলাশাসক ও সমাহর্তার নতুন কার্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, পেভার ব্লক সড়ক, বিএডিপি প্রকল্প, জেলাভিত্তিক প্রতি ঘরে সুশাসন মেলা ও লাভার্থী সম্মেলনের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতি ঘরে সুশাসন অভিযানে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের সমস্ত প্রকল্প ও পরিষেবাগুলি মানুষের কাছে দ্রুততার সাথে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য, জেলাশাসক ও সমাহর্তা কার্যালয় নির্মাণে ব্যয় হবে ২৩ কোটি ৪৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। জেলায় ৩৯টি বিএডিপি প্রকল্পে ব্যয় হবে ৯ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা। ১০২টি পেভার ব্লক ও সিসি রোডের দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৫০.৬৮ কিমি
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা বিধানসভার উপাধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন, বিধায়ক বিনয় ভূষণ দাস, বিধায়ক মলিনা দেবনাথ, ত্রিপুরা শিল্প উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান টিংকু রায় প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উত্তর ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি ভবতোষ দাস। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উত্তর ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক ও সমাহর্তা নাগেশ কুমার বি। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা বলেন, গত ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে রাজ্যে প্রতি ঘরে সুশাসন অভিযানের সূচনা হয়েছিল। এই সময় থেকে শুরু হয়ে রাজ্যের প্রতিটি গ্রাম, ব্লক ও জেলাস্তরে সুশাসন শিবির অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই অভিযান রাজ্যে আগামী ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। তিনি বলেন, বর্তমান রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের অ্যাক্ট ইস্ট পলিসিতে কাজ করে চলছে। রাজ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থায় ইতিমধ্যেই অনেক উন্নতি হয়েছে। বর্তমানে রাজ্যে ৬টি জাতীয় সড়কের কাজ একযোগে চলছে। তিনি জানান, কেন্দ্ৰীয় সরকার রাজ্যের মূল জাতীয় সড়ক এন আইচ-৮-কে চার লাইন করার অনুমোদন দিয়েছে। রেল যোগাযোগের ক্ষেত্রেও রাজ্যে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করছে। মানুষের সুবিধার্থে রাজ্য সরকার ‘আমার সরকার’ নামে একটি পোর্টাল চালু করেছে। যেখানে সাধারণ মানুষের সমস্ত সমস্যাগুলি সরাসরি জানাতে পারবেন। সরকার এই সমস্ত সমস্যা নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তিনি বলেন, রাজ্যে ইন্টারনেট পরিষেবার ক্ষেত্রেও উন্নতি হয়েছে। এই ইন্টারনেটকে কাজে লাগিয়ে রাজ্যের যুবকরা সারা পৃথিবীর সাথে অতি অল্প সময়ের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারছে।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে মহিলা ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়ন ও কৃষি ও কৃষি সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের বিকাশে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলি তুলে ধরে বলেন, রাজ্যের জনগণের আর্থসামাজিক মান উন্নয়নের মাধ্যমে এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।
উত্তর ত্রিপুরা জেলা সফরে এসে আজ দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা ধর্মনগর মহকুমার কদমতলা ব্লকে পিয়ারাছড়া টি-এস্টেট এলাকা পরিদর্শনে যান। সেখানে রাণীবাড়ি চা বাগানে বাগিচা শ্রমিকদের সাথে মতবিনিময়ে অংশ নেন। সেখানে তিনি চা শ্রমিকদের জন্য সরকারের গৃহীত প্রকল্পগুলির সুযোগ সুবিধা যথাযথভাবে পাচ্ছেন কিনা তার খোঁজ নেন। পরিদর্শনকালে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে উপস্থিত ছিলেন টিআইডিসি'র চেয়ারম্যান টিংকু রায়, জেলাশাসক ও সমাহর্তা নাগেশ কুমার বি, জেলা পুলিশ সুপার ড. কিরণ কুমার কে প্রমুখ।