Share Whatsapp

রাজ্য সরকার প্রথম থেকেই রাজ্যে গুণগত শিক্ষার প্রসারে গুরুত্ব দিয়েছে : মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদন

আগরতলা, ২৫ , : রাজ্য সরকারের লক্ষ্য হলো জেলা, মহকুমা, ব্লক, গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ভিলেজ কমিটির অন্তিম ব্যক্তি পর্যন্ত সরকারি প্রকল্পের সুযোগ পৌঁছে দেওয়া। কিভাবে বিভিন্ন সরকারি সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করতে হবে আগে তা অনেকেই জানতেন না৷ প্রতি ঘরে সুশাসন অভিযানের মাধ্যমে মানুষ বিভিন্ন সরকারি সুযোগ সুবিধার বিষয়ে জানতে পারছেন এবং সহজেই তা গ্রহণ করতে পারছেন। ২৪ নভেম্বর বিশালগড়ের কোণাবন গ্রাম পঞ্চায়েতে কোণাবন দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের দ্বিতল পাকা ভবনের উদ্বোধন এবং রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। ৬ কক্ষ বিশিষ্ট নতুন স্কুল ভবনটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৭৩ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা। মুখ্যমন্ত্রী আজ গকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাস্তার মাথায় ৮১ কক্ষ বিশিষ্ট পাকা দ্বিতল এগ্রি মার্কেট শেডের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর মুখ্যমন্ত্রী বেকার যুবক-যুবতীদের মধ্যে মার্কেট স্টলের চাবি তুলে দেন। এই এগ্রি মার্কেট শেড নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৩ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। তাছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী মধুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ২০ শয্যা বিশিষ্ট মধুপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দ্বিতল পাকা ভবনেরও উদ্বোধন করেন। পাকা ভবনটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৬ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা।

অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান রাজ্য সরকার প্রথম থেকেই রাজ্যে গুণগত শিক্ষার প্রসারে গুরুত্ব দিয়েছে। গুণগত শিক্ষার প্রসারে শিক্ষা দপ্তর বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ছাত্রছাত্রীরা এই শিক্ষা সঠিকভাবে গ্রহণ করতে পারছে কিনা প্রতিনিয়ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এ বিষয়ে নজর রাখতে হবে। ছাত্রছাত্রীদের সঠিক পদ্ধতিতে গুণগত শিক্ষা দেওয়ার জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও নিজেদের যোগ্য করে তুলতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, শুধু পড়াশোনা করলেই হবে না, পাশাপাশি যোগ ব্যায়াম, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড, সামাজিক কাজেও নিজেদের সামিল করতে হবে। ছাত্রছাত্রীদের সমাজ এবং দেশ সম্পর্কেও চিন্তা করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার শুরু থেকেই রাজ্যবাসীর কল্যাণে কাজ করে চলেছে। সরকারের লক্ষ্য আত্মনির্ভর ত্রিপুরা গড়ে তোলা।

মুখ্যমন্ত্রী রাধানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ননীগোপাল শর্মা, প্রতিমা দেবনাথ, মাখন পাল শর্মা সহ গ্রামবাসীদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন। তারা কি কি সরকারি সুযোগ সুবিধা পেয়েছেন সে বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী অবগত হন। তারা জানান, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর, স্বচ্ছ ভারত মিশনে পাকা শৌচালয়, জল জীবন মিশনে পানীয়জলের সংযোগ, সৌভাগ্য যোজনায় বিদ্যুৎ সংযোগ, উজ্জ্বলা যোজনায় বিনামূল্যে রান্নার গ্যাসের সংযোগ, ২ হাজার টাকা সামাজিক ভাতা প্রভৃতি সরকারি সহায়তা পেয়ে গ্রামের অনেকেই এখন ভালো আছেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী স্বাবলম্বন সহ নানা সরকারি প্রকল্পে ৩ জনের হাতে ৯ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন। কমলাসাগর চা বাগানের ৫টি ভূমিহীন পরিবারের হাতে জমির পাট্টা তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিপাহীজলা জিলা পরিষদের সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত, বিশালগড় পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান ছন্দা দেববর্মা, ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান সন্তোষ সাহা, সিপাহীজলা জেলার জেলাশাসক বিশ্বশ্রী বি, বিশিষ্ট সমাজসেবী রাজীব ভট্টাচার্য, গৌরাঙ্গ ভৌমিক, সুবীর চৌধুরী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা এন সি শর্মা। সভাপতিত্ব করেন কোণাবন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রূপালি দত্ত।


You can post your comments below  
নিচে আপনি আপনার মন্তব্য বাংলাতেও লিখতে পারেন।  
বিঃ দ্রঃ
আপনার মন্তব্য বা কমেন্ট ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষাতেই লিখতে পারেন। বাংলায় কোন মন্তব্য লিখতে হলে কোন ইউনিকোড বাংলা ফন্টেই লিখতে হবে যেমন আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড (Avro Keyboard)। আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ডের সাহায্যে মাক্রোসফট্ ওয়ার্ডে (Microsoft Word) টাইপ করে সেখান থেকে কপি করে কমেন্ট বা মন্তব্য বক্সে পেস্ট করতে পারেন। আপনার কম্পিউটারে আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড বাংলা সফ্টওয়ার না থাকলে নিম্নে দেয়া লিঙ্কে (Link) ক্লিক করে ফ্রিতে ডাওনলোড করে নিতে পারেন।
 
Free Download Avro Keyboard  
Name *  
Email *  
Address  
Comments *  
 
 
Posted comments
Till now no approved comments is available.