Hare to Whatsapp
ত্রিপুরা পুলিশ দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় কোনও অংশে কম নয় : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, নভেম্বর ২১, : রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা ২০ নভেম্বর জেলাস্তরের পুলিশ আধিকারিকদের সাথে এক বৈঠকে মিলিত হন। প্রজ্ঞাভবনে আয়োজিত এই বৈঠকে রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক অমিতাভ রঞ্জন, পুলিশ সুপারগণ, রাজ্যের বিভিন্ন থানার ওসি ও অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকগণ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন।
সভা শেষে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা সাংবাদিকদের জানান, রাজ্যে মহিলা থানা সহ মোট ৮৩টি থানা রয়েছে। এছাড়া রেলওয়ে থানা রয়েছে ৫টি, আউট পোস্ট রয়েছে ৩৫ টি এবং প্রায় ৩০০টি পুলিশ ক্যাম্প রয়েছে রাজ্যে। বৈঠকে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার সার্বিক পরিস্থিতি সহ বিভিন্ন বিষয়ে পর্যালোচনা করা হয়। বৈঠকে বিভিন্ন থানার ওসিগণ ও বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপারগণ তাদের কাজের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। রাজ্য সরকার এই বিষয়গুলি নিশ্চয়ই বিবেচনা করবে। কারণ সমস্যার সমাধান দ্রুত করতে পারলেই জনগণ ভালো পরিষেবা পাবেন বলে মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি অভিযোগ করছে যে রাজ্যে আইন শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। কিন্তু এই অভিযোগ একেবারেই ঠিক নয়। সবদিক দিয়ে পর্যালোচনা করে দেখা গেছে যে ২০১৮ সালের পর থেকে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার অনেক উন্নয়ন হয়েছে। তিনি তথ্য দিয়ে জানান, রাজ্যে খুন সংক্রান্ত অপরাধ ১৫ শতাংশ কমেছে। পনের জন্য হত্যা ১০ শতাংশ কমেছে, মহিলাদের প্রতি উৎপীড়ন ৩৫ শতাংশ কমেছে। মহিলা সংক্রান্ত অপরাধ ৩০ শতাংশ কমেছে এবং ইভটিজিং প্রায় ৬০ শতাংশ কমেছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মহিলাদের উপর সংগঠিত অপরাধ দমনে রাজ্যের ৮টি মহিলা থানাতেই ২৪X৭ মহিলা হেল্প ডেস্ক চালু রয়েছে। এছাড়াও রাজ্যে ২৪X৭ হেল্পলাইন ১০৯ চালু রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আইন আইনের পথেই চলবে। তার থেকে যাতে বিচ্যুতি না হয় সে বিষয়ে ত্রিপুরা পুলিশকে সচেতন থাকতে হবে। তিনি বলেন, ত্রিপুরা পুলিশ দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় কোনও অংশে কম নয়। বহির্রাজ্যেও ত্রিপুরা পুলিশের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। আইন শৃঙ্খলার উন্নতির ক্ষেত্রে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর তথ্যে রাজ্য দেশের মধ্যে পঞ্চম স্থানে রয়েছে। এছাড়া ড্রাগ সহ বিভিন্ন নেশা সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করার ক্ষেত্রে ত্রিপুরা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানত থানা থেকেই আইন শৃঙ্খলা রক্ষা সহ বিভিন্ন বিষয়ে জনগণ পরিষেবা পেয়ে থাকেন। তাই থানাস্তরের পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার উদ্দেশ্যেই এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান।