Hare to Whatsapp
নতুন শিক্ষানীতির উদ্দেশ্য ভবিষ্যত প্রজন্মের প্রাথমিক শিক্ষার ভিত্তিকে সুদৃঢ় করা : শিক্ষামন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, নভেম্বর ১৯, : জাতীয়তাবাদ ও আধুনিকতার সংমিশ্রণে দেশে বিজ্ঞানসম্মত জাতীয় শিক্ষানীতি-২০২০ চালু করা হয়েছে। উদ্দেশ্য একটাই দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে গুণগত শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য প্রাথমিক শিক্ষার ভিত্তিকে সুদৃঢ় করা। ১৮ নভেম্বর রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে জাতীয় শিক্ষানীতি-২০২০'র নির্দেশিকা অনুসারে ৩ থেকে ৬ বছর বয়সী শিশুদের বুনিয়াদি পঠন ও গাণিতিক দক্ষতা বৃদ্ধিতে নিপুণ ত্রিপুরা ওয়েবসাইট ও লোগো উদ্বোধন করে শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ একথা বলেন। অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী মিশন মুকুল এবং বিদ্যাসেতু মডিউলেরও উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের সচিব অভিষেক সিং, বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের সচিব শরদিন্দু চৌধুরী, এসসিইআরটি'র অধিকর্তা নৃপেন্দ্র চন্দ্র শর্মা।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকার রিড টু লার্ন, লার্ন টু রিড এই ধারণা নিয়ে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে স্থায়ী লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলছে। কারণ দেশ ও জাতিকে উন্নতির চরম শিখরে নিয়ে যেতে পারে একমাত্র শিক্ষাই। তাই বর্তমান সরকার শিক্ষার উপরই সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছে। উল্লেখ্য, নিপুণ ত্রিপুরার লক্ষ্য হচ্ছে ২০২৬-২৭-এর মধ্যে সমস্ত শিশুকে তৃতীয় শ্রেণীর শেষ পর্বে ভাষাগত ও গাণিতিক নৈপুণ্য অর্জনে সক্ষম করে তোলা অর্থাৎ শিশুদের অর্থ বুঝে পড়তে ও গুণতে পারায় দক্ষ করা। মিশন মুকুলের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের সাথে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির সমন্বয় সাধন করা হবে। ফলে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিশুদের মধ্যে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পূর্বেই বিদ্যালয়ের শিক্ষা সম্বন্ধে প্রাথমিক ধারণা হয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই ২৯টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রকে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন স্কুলের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, গত সাড়ে চার বছরে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তনের জন্য যে সকল সংস্কার সাধন করা হয়েছে তার ফল রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে ৭-৮ বছর পর অবশ্যই পরিলক্ষিত হবে। তিনি বলেন, বর্তমান সময়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ছাত্রছাত্রীদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে সমমানসিকতা নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পড়াশোনার বাতবরণ সৃষ্টি করতে হবে। কারণ শিক্ষক সমাজই আগামী প্রজন্মকে রাজ্য ও দেশ গড়ার যোগ্য করে তুলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন জেলা শিক্ষা আধিকারিক, সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের বিভিন্ন স্তরের আধিকারিকগণ, প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকা সহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ উপস্থিত ছিলেন। এই উপলক্ষে সবগুলি কর্মসূচির উপর একটি তথ্যচিত্র ও নিপুণ ত্রিপুরার প্রচারচিত্র প্রদর্শন করা হয়।