Hare to Whatsapp
সুপার ৩০ প্রকল্পে প্রথম ব্যাচ-এর ছাত্রছাত্রীরা উল্লেখযােগ্য ফলাফল করেছে : শিক্ষামন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, নভেম্বর ১২, : রাজ্যের শিক্ষার্থীদের সার্বিক বিকাশে রাজ্যের ১০০টি বিদ্যালয় বিদ্যাজ্যোতি স্কুল হিসেবে রূপান্তর করা হয়। বাজেট প্রস্তাবে আরও ২৫টি বিদ্যালয়কে বিদ্যাজ্যোতি স্কুল রূপে রূপান্তর করার সংস্থান রাখা হয়েছিল। ১১ নভেম্বর সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রীর অফিস কক্ষে আহুত এক। সাংবাদিক সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ ২৫টি প্রস্তাবিত বিদ্যাজ্যোতি স্কুলের নামের তালিকা জানিয়েছেন। ২৫টি প্রস্তাবিত বিদ্যাজ্যোতি স্কুলের মধ্যে রয়েছে প্রতাপগড় বিধানসভা কেন্দ্রের ডা. বি আর আম্বেদকর বিদ্যাভবন, বাধারঘাট বিধানসভা কেন্দ্রের বেলাবর দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় এবং কবিরাজটিলা দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়, বিশালগড় বিধানসভা কেন্দ্রের অফিসটিলা দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়, গােলঘাটি বিধানসভা কেন্দ্রের শ্রীনগর গাবর্দি দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়, নলছড় বিধানসভা কেন্দ্রের দুর্লভনারায়ণ দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় এবং খাসচৌমুহনি দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়, বাগমা বিধানসভা কেন্দ্রের পিত্রা দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় এবং নােয়াবাড়ি দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়, করমছড়া বিধানসভা কেন্দ্রের হকুতুইসা ইংরেজি মাধ্যম দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়, বাগবাসা কেন্দ্রের প্রত্যেকরায় দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়, যুবরাজনগর বিধানসভা কেন্দ্রের তিলথৈই আরসি দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় এবং হাফলংছড়া টিই দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়, সিমনা বিধানসভা কেন্দ্রের ইশানপুর দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়, বড়জলা বিধানসভা কেন্দ্রের নতুননগর গার্লস এইচ এস স্কুল, খয়েরপুর বিধানসভা কেন্দ্রের রেশমবাগান দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়, রাধাকিশােরপুর বিধানসভা কেন্দ্রের হরিয়ানন্দা ইংরেজি মাধ্যম দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়, কমলাসাগর বিধানসভা কেন্দ্রের মধুপুর দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়, কল্যাণপুর প্রমােদনগর বিধানসভা কেন্দ্রের ঘিলাতলি বাজার দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়, মাতাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের গর্জিবাজার দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়, ঋষ্যমুখ বিধানসভা কেন্দ্রের মতাই ইংরেজি মাধ্যম দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়, অমরপুর বিধানসভা কেন্দ্রের রাঙ্গামাটি দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়, সুরমা বিধানসভা কেন্দ্রের বামনছড়া ইংরেজি মাধ্যম দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়, চন্ডিপুর বিধানসভা
কেন্দ্রের শ্রীরামপুর সূর্যমণি দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় এবং মােহনপুর বিধানসভা কেন্দ্রের মধু চৌধুরী পাড়া দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে এই স্কুলগুলি বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্পে রূপান্তরিত হবে।
সাংবাদিক সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী জানান, বর্তমান রাজ্য সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর রাজ্যের শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে সুপার ৩০ প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পে ২০২০-২১ সালের প্রথম ব্যাচ-এর ছাত্রছাত্রীরা উল্লেখযােগ্য ফলাফল করেছে। ৩০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১ জন আইআইটি, ৬ জন এমবিবিএস, ৩ জন আগরতলা এনআইটি ইঞ্জিনিয়ারিং-এ, ২ জন আগরতলা এনআইটির বিএসসি ও এমএসসি ইন্টিগ্রেটেড কোর্সে, ১ জন ভেটেরিনারি সায়েন্স, ১ জন এগ্রি বিএসসি, ১ জন বি ফার্মা, ১ জন ফার্মা ডি, ৪ জন বিএসসি অনার্স, ১ জন বিএসসিতে সুযােগ পেয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী আরও জানান, আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে ৬টি কলেজ যথাক্রমে এমবিবি কলেজ, উইমেন্স কলেজ, বিলােনীয়ার ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কলেজ, উদয়পুরের নেতাজী সুভাষ মেমােরিয়াল, কৈলাসহরের রামকৃষ্ণ মহাবিদ্যালয়, ধর্মনগরের গভর্নমেন্ট ডিগ্রি কলেজে ইংরেজি এবং বাংলায় মাস্টার ডিগ্রি কোর্স শুরু করা হচ্ছে। এমবিবি কলেজে ৩০ জন বাংলায় এবং ৩০ জন ইংরেজিতে, উইমেন্স কলেজে বাংলায় ১৫ জন এবং ২০ জন ইংরেজিতে, বিলােনীয়ার ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কলেজে ২০ জন বাংলায় এবং ২০ জন ইংরেজিতে, উদয়পুরের নেতাজী সুভাষ মেমােরিয়ালে ১০ জন বাংলায় এবং ১০ জন ইংরেজি, কৈলাসহরে রামকৃষ্ণ মহাবিদ্যালয়ে ১০ জন বাংলায় এবং ইংরেজিতে ৯ জন এবং ধর্মনগর গভর্নমেন্ট ডিগ্রি কলেজে বাংলায় ১১ জন এবং ইংরেজিতে ৯ জন ভর্তি হয়েছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী জানান, বর্তমান রাজ্য সরকার ক্ষমতায় আসার পূর্বে রাজনৈতিক সন্ত্রাসের কারণে নিহত হয়েছে এমন সমস্ত পরিবারের সদস্যদের চাকরি দেওয়ার কথা সরকার ঘােষণা করেছিল। এরজন্য একটি স্কুটিনি কমিটিও গঠন করা হয়। এখন পর্যন্ত
টিনি কমিটির কাছে ২৬টি আবেদনপত্র জমা পড়েছে। এরমধ্যে ৮ জনকে ইতিমধ্যে চাকরি দেওয়া হয়েছে। ৭ জনের আবেদনপত্র রিভিউ করার জন্য পাঠানাে হয়েছে। তাছাড়া ৭ জনের নাম সুপারিশ করে বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানাে হয়েছে যা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তিনি জানান, আজ ১,৪৮২ জন টেট-টুর স্নাতক শিক্ষকের অফার ছাড়া হয়েছে।