Hare to Whatsapp
বর্তমান সরকারের সময়ে রাজ্যে গণবণ্টন ব্যবস্থা শক্তিশালী হয়েছে : খাদ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, নভেম্বর ১১, : জিরানীয়া মহকুমার বেলবাড়িতে ১০ নভেম্বর এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ৫০০ মেট্রিকটন ক্ষমতা সম্পন্ন খাদ্য গুদামের উদ্বোধন করেন খাদ্য, জনসংভরণ ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়ক দপ্তরের মন্ত্রী মনােজ কান্তি দেব। কেন্দ্রীয় স্টোরেজ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ফান্ডে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৭৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই খাদ্য গুদাম নির্মাণ করা হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেলবাড়ি বিএসির চেয়ারম্যান রােকেন দেববর্মা, দপ্তরের বিশেষ সচিব ড. সন্দীপ আর রাঠোর, কেন্দ্রীয় সরকারের উপভােক্তা বিষয়ক মন্ত্রকের অবর সচিব তাজিন্দর সিং বল, দপ্তরের অধিকর্তা তপন কুমার দাস, মহকুমা শাসক শান্তিরঞ্জন চাকমা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আলােচনা করতে গিয়ে খাদ্যমন্ত্রী মনােজ কান্তি দেব বলেন, জনজাতি এলাকার উন্নয়নকে মসৃণতর করার লক্ষ্যে প্রথম থেকেই বর্তমান সরকার কাজ করে আসছে। এই সরকারের সময়ে গণবন্টন ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি পেট্রোল, ডিজেল, রান্নার গ্যাস, কেরােসিন সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হয়েছে। রাজ্যে খাদ্যের মজুতভান্ডার বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে বিভিন্ন স্থানে খাদ্য গুদাম নির্মাণ করা হচ্ছে। আগামী কিছুদিনের মধ্যে একই প্রকল্পে শান্তিরবাজারে ২ কোটি ৫২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ১ হাজার মেট্রিকটন এবং আমবাসার গঙ্গানগরে ১ কোটি ৭৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৫০০ মেট্রিকটন ক্ষমতা সম্পন্ন আরও ২টি খাদ্য গুদামের উদ্বোধন করা হবে। খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমানে গণবন্টনের আওতায় রাজ্য সরকারের আওতাধীন ৭৫ হাজার ৪০০ মেট্রিকটন ক্ষমতা সম্পন্ন ১৩৬টি এবং এফসিআই’র অধীন ৪২ হাজার মেট্রিকটন ক্ষমতা সম্পন্ন ৭টি খাদ্য গুদাম রয়েছে। রাজ্যে এখন পর্যন্ত সরকারি উদ্যোগে ন্যূনতম সহায়কমূল্যে ১ লক্ষ ৩০ হাজার ৭২১ মেট্রিকটন ধান ক্রয় করা হয়েছে। এরফলে কৃষকদের ২৪৩ কোটি ৯৯ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়েছে। চলতি খারিফ মরশুমে ২০ টাকা ৪০ পয়সা দরে কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করা হবে। রাজ্যে এক দেশ এক রেশন কার্ড প্রকল্পের কাজ দ্রুততার সঙ্গে কার্যকর করা হচ্ছে। বর্তমানে রেশনশপে চিনি, ডাল, চা পাতা দেওয়া হচ্ছে। সহসাই সয়াবিন, ভােজ্যতেল এবং গুঁড়া মশলাও যাতে রেশনশপ থেকে দেওয়া যায় তার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি ২৫০টি নতুন রেশনশপ চালু করা হয়েছে। সবগুলিই মহিলাদের দ্বারা পরিচালিত। খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এই সরকারের আমলে উজ্জ্বলা যােজনায় রাজ্যে ২ লক্ষ ৭৮ হাজার ২৯১টি রান্নার গ্যাসের সংযােগ দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এনএফএস’এ স্টেট র্যাঙ্কিং ইনডেক্স ২০২২-এর সমীক্ষায় ত্রিপুরা ১৪টি স্পেশাল ক্যাটাগরি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে প্রথম এবং সার্বিকভাবে সারা দেশের মধ্যে পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখতে গিয়ে দপ্তরের বিশেষ সচিব ড. সন্দীপ আর রাঠোর বলেন, রাজ্যের ৯৯.৪৯ শতাংশ রেশনকার্ডের সাথে আধার লিঙ্ক করার কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে। অনুষ্ঠানে দপ্তরের অধিকর্তা তপন কুমার দাস বলেন, বেলবাড়ির ১৮টি রেশনশপে প্রয়ােজনীয় সামগ্রী মাধববাড়িস্থিত খাদ্য গুদাম থেকে আনতে হতাে। এই খাদ্য গুদামটি নির্মাণ হওয়ার ফলে এই এলাকার জনজাতি অংশের মানুষ বহুলভাবে উপকৃত হবেন। পরে অতিথিগণ সংশ্লিষ্ট এলাকার বিভিন্ন সুবিধাভােগীদের হাতে বিপিএল রেশনকার্ড তুলে দেন।